‘অনস্ক্রিন আমি চুমুও খাব, বিকিনিও পরব’
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত পরীমণির একটি সাক্ষাৎকার যা বেশ আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।আমরা বিস্তারিত তুলে ধরলাম।
ঢালিউডে তিনি এখন প্রথম সারির নাম। অভিনয় শুরু করেছেন মাত্র কয়েক বছর। কিন্তু এর মধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশেই তিনি বেশ জনপ্রিয়। অভিনয় তো আছেই, তাঁকে নিয়ে গসিপও কম নয়। তিনি পরীমণি। ভারতীয় মিডিয়ায় এটা তাঁর প্রথম সাক্ষাত্কার। সে নিয়ে উত্তেজিত নায়িকা। তবে ফোনের ওপারে তিনি সাবলীল। যতটা সাক্ষাত্কার দিলেন গল্প করলেন তার থেকে অনেক বেশি। সূত্রধর স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
কেমন আছেন?
খুব ভাল। এই কিছু ক্ষণ আগে শুটিং থেকে ফিরলাম। এ বার ডিনার খেতে খেতে আপনার সঙ্গে গল্প করব।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় কাজ করছেন আপনি। কেমন অভিজ্ঞতা?
এখন যেটার শুটিং করছি সেটা পরিচালক গিয়াসুদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’। এটা যৌথ প্রয়োজনার ছবি। এখানে আমার নায়ক ইয়াশ সোহান। খুব ভাল অভিজ্ঞতা। আর এই যৌথ উদ্যোগ তো খুব পজিটিভ।
অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে ১০-এ কত দেবেন?
দু’য়ের বেশি দেব না। কারণ আমি এখনও শিখছি। প্রতিদিনই আমার নতুন নতুন পরীক্ষা চলছে। তাই এই বিচার করার আমি কেউ নই। তবে অভিনয়টা আমার মধ্যে আছে এটা আমি জানি।
ঢাকাই নায়িকাদের দৌড়ে আপনি নিজেকে কোথায় রাখবেন?
একটা কথাই বলব, ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকে এসেই পরিমণি হতে চায়। তবে আমি কারও জায়গা নিতে চাই না। আমি মনে করি, ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে প্রত্যেকেরই নিজের জায়গা করে নেওয়া উচিত।
ক’দিন ধরে ফেসবুকে ইসমাইল নামে একজনের সঙ্গে আপনার ছবি নিয়ে খুব হৈ চৈ চলছে। ব্যাপারটা কী বলুন তো?
বাংলাদেশের কিছু মানুষ আসলে খুব হিংসুটে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, নায়ক-নায়িকার সিনেমা রিলিজের আগে এমন কিছু করেন যাতে তাঁদের নিয়ে নেগেটিভ লেখালিখি হয়। কিন্তু এ সব প্রমাণ করাটা কঠিন। এ সব ভিত্তিহীন আলোচনা।
নিজের দেশের মানুষকে হিংসুটে বলছেন?
কী করব বলুন? না বলে উপায় নেই। আমার মনে হয় কেউ আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।