অফিসে ভাতঘুমে উৎসাহ দিচ্ছে জাপানি কোম্পানিগুলো

অফিসে ঘুমের বিষয়টি বেশ নেতিবাচকভাবে দেখা হতো কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু কোম্পানি এতে উৎসাহ দিচ্ছে। অফিসে হালকা ঘুম (ভাতঘুম হিসেবে পরিচিত) স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং তা সৃজনশীলতা বাড়ায় বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের বেশকিছু কোম্পানি অফিসে হালকা ঘুমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করছে এবং ঘুমের গুরুত্ব নিয়ে কর্মীদের জন্য সেমিনার আয়োজন করছে। খবর জাপান টাইমস।
স্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস মানুষের ঘুমের সময় কমিয়ে দিচ্ছে বলে যখন বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠছে, তখনই জাপানি কোম্পানিগুলো এ পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছে। গত বছর জাপানে সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ছিল ‘ঘুম ঘাটতি’। নিয়মিত ঘুম ঘাটতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেটি বোঝাতে এ শব্দযুগল ব্যবহৃত হচ্ছিল।
অফিসে ঘুমে উৎসাহ দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। সিলিকন ভ্যালির জায়ান্টরা অনেক আগে থেকেই অফিসে ঘুমের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে এবং অফিসে ঘুমে উৎসাহিত করেছে। এখন জাপানি প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলো অফিসে ঘুমের ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছে। টোকিওভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি নেক্সটবিট কোম্পানি ঘুমের জন্য দুটি বিশেষ কক্ষ চালু করেছে। এ শরতে চালু হওয়া কক্ষগুলোর একটি কক্ষ নারীদের এবং অন্যটি পুরুষদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো কক্ষ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
আইটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি কক্ষগুলোয় এমন একটি ডিভাইস স্থাপন করেছে, যাতে আশপাশের কক্ষের শব্দ ওই কক্ষে প্রবেশ করবে না। সোফা ও সুগন্ধিতে ভরপুর ওই কক্ষটিতে ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এ পদক্ষেপ নেয়ার পেছনের কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে কোম্পানির বোর্ড সদস্য এমিকো সুমিকাওয়া বলেন, ভালো খাবার ও শরীরচর্চা যেমন কাজে ইতিবাচক প্রভাব রাখে, তেমনি অফিসে হালকা ঘুম উপকার দেয়। আত্মোন্নয়ন পদক্ষেপ হিসেবে কর্মীদেরকে রাত ৯টার মধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ এবং রাতে অতিরিক্ত সময় (ওভারটাইম) কাজে নিরুৎসাহিত করছে নেক্সটবিট। এ ছাড়া দিনের বেলা ৩০ মিনিটের জন্য হালকা ঘুমকেও অফিস টাইম হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে কোম্পানিটি।
প্রপার্টি ডেভেলপার মিৎসুবিশি এস্টেট কোম্পানি নারী ও পুরুষের জন্য তিনটি ঘুমের কক্ষ স্থাপন করেছে। কর্মীদের ওপর পরিচালিত জরিপে কোম্পানিটি দেখেছে, অফিসে হালকা ঘুমের সুবিধা কর্মীদের জব ফোকাস উন্নত করেছে এবং সামগ্রিক প্রণোদনা ধরে রাখতে সহায়তা করছে।
বর্তমানে নিয়োগ নীতিমালায় কর্মীদের ১ ঘণ্টা বিরতির সঙ্গে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট ঘুমের বিরতি যোগ করা হয়েছে। নেক্সটবিট ও মিৎসুবিশির মতো জাপানের অন্য কোম্পানিগুলোও ঘুমকক্ষ স্থাপনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ঠিকানা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.