অফিসে মানসিক চাপ কমাতে এক সপ্তাহ ইমেল পাঠানো বন্ধ
অফিসে মানসিক চাপ কমাতে এক সপ্তাহ ইমেল পাঠানো বন্ধ
- গাবেল কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মিকেল মলত্রাসি বলছেন ইমেল বন্ধ রাখার পর কর্মচারীরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন বেশি।
ইতালির একটি সংস্থা অফিসের সব কর্মীদের বলেছে তারা যেন এক সপ্তাহের জন্য অফিসের ভেতর নিজেদের মধ্যে ইমেল চালাচালি বন্ধ রাখে। সংস্থাটি বলছে তাদের লক্ষ্য কর্মীদের মানসিক চাপ কমানো।
ইতালির উত্তরাঞ্চলে কোমো এলাকার একটি বস্ত্র কোম্পানি একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছিল যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অফিসের সব কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে কর্মক্ষেত্রে তাদের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো কী?
বিবিসি মনিটরিং লা প্রভিনসিয়া দি কোমো নামে স্থানীয় একটি ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে গাবেল নামে ওই কোম্পানির বেশিরভাগ কর্মচারী বলেছেন সারাদিন অফিসের ভেতর থেকে যে পরিমাণ ইমেল আসে তা দেখা- সেগুলোর জবাব দেওয়া অর্থাৎ প্রতিদিন বিশাল এই ইমেলের পাহাড় ম্যানেজ করা তাদের জন্য সবচেয়ে বিড়ম্বনার বিষয়।
এরপরই কোম্পানির ম্যানেজাররা এর সমাধানে এই পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে মজার বিষয় হল – ম্যানেজারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ সব কর্মচারীর কাছে গেছে ইমেলের মাধ্যমে।
”আমরা যে পরীক্ষাটা শুরু করছি তাতে আমরা সেই সময় ফিরে যেতে চাই যখন মানুষ ইমেল না পাঠিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলত অনেক বেশি,” বলেছেন কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টার এমিলিও কলম্বো।
এই সপ্তাহটি তারা ”ইমেল- মুক্ত” সপ্তাহ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানির প্রেসিডেন্ট মিকেল মলত্রাসিও বিবিসিকে বলেছেন বহুদিনের এই অভ্যাস হুট করে বন্ধ করা সহজ নয় – এমনকী এক সপ্তাহের জন্যও – কিন্তু কর্মচারীরা এই চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানিয়েছেন।
”কর্মীরা ইমেল লেখার বদলে একে অন্যের সঙ্গে দেখা করে মুখোমুখি কথা বলার আনন্দ উপভোগ করছেন।”
মিঃ মলত্রাসিও নিজেও ইমেল পাঠানো বন্ধ রেখেছেন। তিনি বলছেন এক সপ্তাহ পরে আবার ইমেল পাঠানো শুরু হলেও এই পরীক্ষা কাজের ক্ষেত্রে নতুন একটা জগত খুলে দেবে বলে তার বিশ্বাস।
সাম্প্রতিক বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে কাজের জায়গায় প্রচুর ইমেল চালাচালি করা বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি করে। ২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে এধরনের পরিস্থিতি রক্তচাপ বাড়ায় ও হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে।
গত বছরও এক সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে ইমেলের ব্যবহার কমাতে পারলে তা মানসিক চাপ ”ব্যাপকভাবে” কমাতে সক্ষম। BBC Bangla.