অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ

সান্ত্বনার জয় দিয়ে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর শেষ করল বাংলাদেশ। টানা দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার পর গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে মারুফল হকের দল। এ নিয়ে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নয় ম্যাচ পর জিতল বাংলাদেশ। মামুনুলদের সর্বশেষ জয়টি ছিল ২০০৯ সালের আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে পাওয়া।
এই আসরের ‘বি’ গ্রুপের পথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৪-০ ও মালদ্বীপের কাছে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল মামুনুলদের। টানা তিন হারের হতাশা সঙ্গী হলো ভুটানের। মালদ্বীপের কাছে ৩-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা ভুটান গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে শিরোপাধারী আফগানিস্তানের কাছে হারে ৩-০ ব্যবধানে।
ত্রিভান্দ্রাম স্টেডিয়ামে সোমবার জয়ের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ এগিয়ে যায় সপ্তম মিনিটে। অধিনায়ক মামুনুলের কর্নারে দূরের পোস্ট থেকে হেমন্ত ভিনসেন্টের করা হেডে ফের মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তপু বর্মন।
২৩তম মিনিটে বক্সের মধ্যে হেমন্তকে ফাউল করেন ভুটানের ডিফেন্ডার জিগমে টিশেরিং দর্জি। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রেফারিকে ধাক্কা দিয়ে লালকার্ড দেখেন দলটির দলটির ডিফেন্ডার চিমি দর্জি। গোলরক্ষককে প্রতিরোধের কোনো সুযোগ না দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শাখাওয়াত হোসেন রনি। ১০ জনের দলে নেমে যাওয়ায় ভুটানের খেলার গতি কমে যায়। ৩৯তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে জামাল ভুইয়া বল টেনে নিয়ে বাড়ান নাবীব নেওয়াজ জীবনকে; এই ফরোয়ার্ডের শট দূরের পোস্ট দিয়ে বাইরে চলে যায়। এর একটু পর গোলরক্ষকের গায়ে মেরে ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন রনি।
৪৩তম মিনিটে ভুটানকে ম্যাচে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন চেঞ্চো জিয়েলতসেন; কিন্তু বক্সের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ভুটানের এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া দুর্বল শট সহজেই আটকে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ভুটান বাংলাদেশের রক্ষণে ভালো চাপ তৈরি করে। ৬১তম মিনিটে টিশেরিং দর্জির বক্সের ডান দিকে থেকে নেওয়া শট পাঞ্চ করে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত রাখেন শহিদুল। ৬৭তম মিনিটে ইয়াসিনের খানের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করে রনি। টুর্নামেন্টে এটি দ্বিতীয় গোল। তিন মিনিট পর হ্যাট্রিকের দারুণ সুযোগ হারান রনি। বাম দিক দিয়ে ওয়ালি ফয়সালের ক্রসে রনির গতিময় হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৭৪তম মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফরোয়ার্ড জীবন। ডান দিক থেকে জাহিদ হোসেনের নিচু ক্রসে বল ভুটানের জালে পৌঁছে দিতে দরকার ছিল কেবল আলতো টোকার। তিন মিনিট পর নাসিরুল ইসলামের ক্রসে রনি প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
শেষ দিকেও হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন রনি কিন্তু দুর্বল শট নিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। সোহেল রানাও ব্যবধান বাড়নোর ‍সুযোগ নষ্ট করেন বাইরে মেরে। যোগ করা সময়ে ভুটানের একটি আক্রমণ শহিদুল রুখে দিলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
সূত্র : বাংলাদেশের খেলা – See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/80799#sthash.wJpawpIn.dpuf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.