অস্ত্র নাও সম্পদ দাও

সৌদি আরব খুবই সম্পদশালী একটি দেশ। এবং যুক্তরাষ্ট্রকে তারা সেই সম্পদের কিছুটা দিতে যাচ্ছে। আশা করছি, এটি হবে চাকরির বিনিময়ে এবং বিশ্বের সব থেকে উন্নতমানের সামরিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করার মাধ্যমে।’Ñ এমন কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার দুই নেতা হোয়াইট হাউসে মিলিত হয়েছিলেন। আলজাজিরা। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। বৈঠকে সমরাস্ত্র ও সরঞ্জাম বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা হয়। সৌদি আরবকে মার্কিন অস্ত্রের ‘বড় ক্রেতা’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শত শত কোটি ডলার উপার্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশ। মোহাম্মদ, যিনি ট্রাম্পের চেয়ে ৩৯ বছরের ছোট, দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাস টেনে কথা বলেন। তার ভাষায়, ‘মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমরাই আমেরিকার সবচেয়ে পুরনো মিত্র। এই মিত্রতার বয়স ৮০ বছরেরও বেশি। রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাÑ এসবই আমাদের আগ্রহের বড় জায়গা। এই সম্পর্কের ভিত্তি সত্যিকার অর্থেই মজবুত ও গভীর।’ এই সাক্ষাতে ট্রাম্প ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্তিক্ষয়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আইএস দখলকৃত এলাকার প্রায় শতভাগ পুনর্দখল করে ফেলেছি। আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছি, আর তা সত্যি শেষ হতে চলেছে। আমরা এখন কিছু বিশেষ এলাকা থেকে চলে আসতে পারব। অনেক দিন ধরেই আমরা সেখান থেকে চলে আসতে চাচ্ছি।’ তখন সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘এ কারণেই আমরা এখানে বসেছি। আমরা সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে এটি করার পাশাপাশি আমাদের উভয় দেশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক হুমকি থেকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হতেই এখানে কথা বলছি।’ ট্রাম্প ও যুবরাজের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর অর্থায়ন বিষয়ে কথা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদকে কোনোভাবেই অনুমোদন করা হবে না। সন্ত্রাসবাদের কারণে যে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে’। ট্রাম্প সন্ত্রাসীদের অর্থ জোগান বন্ধে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.