অ্যান্টিবায়োটিকই মানসিক অসুখের জন্য দায়ী
সামান্য জ্বর জ্বর লাগছে কিংবা গা ম্যাজম্যাজ করছে। কোন কিছু না ভেবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সেবন করলেই অ্যান্টিবায়োটিক। এতে সাময়িকভাবে হয়তো জ্বর কমে যায়। কিন্তু আপনি জানেন কী তা আদতে নানা মানসিক সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। সম্প্রতি গবেষকরা গবেষণা করে এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
আমেরিকার ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হাসপাতালের এক দল গবেষক বলেছেন, বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
গবেষকদের দলের একজন শমিক ভট্টাচার্য নামে এক বাঙালি চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন ব্যস্ত জীবনে সব সময় চিকিৎসকের কাছে যায় না সাধারণ মানুষ। নিজেই দোকান থেকে কিনে এনে ওষুধ খেয়ে ফেলে। তাতে হয় হিতে বিপরীত। সামান্য ওষুধের জন্য হয়ত দেহের তাপমাত্রা কমে গিয়ে জ্বরের থেকে উপশম মেলে। কিন্তু এতে বেড়ে যায় দেলিরিয়ামের মতো জটিল মস্তিষ্কের রোগের আশঙ্কা।
তিনি বলেন, দেলিরিয়ামের কারণে মানসিক সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে কোন কোন রোগী অল্পতেই রেগে যান। কোন কারণ ছাড়াই এমন ব্যবহার করেন তারা। কারো কারো আবার মতিভ্রম হয়।
গত সাত দশক ধরে বিভিন্ন গবেষণা পত্র ঘেঁটে চিকিৎসকরা দেখেন, ৩৯১ রোগী যাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল তাদের দেলিরিয়াম হয়েছে। ওষুধ চলাকালীন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেড়ে যায় দেলিরিয়ামের সমস্যা।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, ওষুধ বন্ধ থাকলে রোগ তাড়াতাড়ি আক্রমণ করতে পারে না রোগীর দেহে।
৫৪ রকমের অ্যান্টিবায়োটিকের উপর গবেষণা চালানো হয়। এই পরীক্ষায় মেলে ৪৭ শতাংশ রোগী মতিভ্রমের সমস্যায় ভুগছে। বাকিরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। কারো কারো আবার কিডনি ফেলিয়র হয়েছে।
গবেষণা পত্রটি নিউরোলজির জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।