আবার মেসি: পঞ্চমবারের মতো পেলেন ফিফা ব্যালন ডি’অর

ফিফা ব্যালন ডি’অর কার হাতে উঠছে, তা ছিল একপ্রকার অনুমিতই। অনুমান কারও মিথ্যা হয়নি। বার্সেলোনাকে ৫টি শিরোপা এনে দেয়া লিওনেল মেসির হাতেই উঠলো ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। টানা চারটি ব্যালন ডি’অর জয়ের পর মাঝে দু’বছর বিরতি দিয়ে আবারও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করলেন লিওনেল মেসি। এ নিয়ে রেকর্ড ৫ বার ফিফা বর্ষসেরা হলেন বার্সেলোনার মহাতারকা। বার্সেলোনাকে শুধু ট্রেবল জয়ই নয়, বছরে মোট ৫টি শিরোপা উপহার দিয়েছেন মেসি। বছরজুড়ে নিজে গোল করেছেন ৫২টি। করিয়েছেন ২৬টি। বছরের মাঝপথে দু’মাস ছিলেন মাঠের বাইরে। না হয়, গোলের সংখ্যা তার নিশ্চিত আরও বাড়তো। সে না হয়, না হলো। কিন্তু দুর্দান্ত সাফল্য দেখিয়ে বার্সার ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন মেসিই। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারটি ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। তবে, ২০১৩ সালে এসে মেসির কাছ থেকে পুরস্কারটি ছিনিয়ে নেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০১৪ সালেও রোনালদোর কাছ থেকে শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করতে পারেননি মেসি। অবশেষে ২০১৫ সালে এসে পারলেন এবং ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জয়ের রেকর্ড গড়লেন। ব্যালন ডি’অরের তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে মেসির বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং বার্সা সতীর্থ নেইমার। ভোটাভুটিতে যদিও নেইমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেননি। অনেকেই মনে করেছিলেন, রোনালদোকে ঠেলে নেইমার উঠে আসবে দুইয়ে। কিন্তু ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই। মোট ভোটের ৪১.৩৩ ভাগ পেয়েছেন লিওনেল মেসি। রোনালদো পেয়েছেন ২৭.৭৬ ভাগ ভোট। নেইমার পেয়েছেন ৭.৮৬ ভাগ ভোট। মজার বিষয় হলো মেসি, রোনালদো এবং নেইমার- তিনজনই নিজ নিজ জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং তিনজনই ছিলেন ভোট দেয়ার যোগ্য। কিন্তু নিজেকে ভোট দেয়ার অধিকার নেই। ফলে, মেসি ভোট দিয়েছেন সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ, নেইমার এবং আন্দ্রে ইনিয়েস্তাকে। নেইমার ভোট দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ এবং ইভান র‌্যাকিটিককে। রোনালদো ভোট দিয়েছেন করিম বেনজেমা, হামেস রদ্রিগেজ এবং গ্যারেথ বেলকে। নারী ফুটবলের বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কার্লি লয়েডের হাতে। তিনি হারিয়েছেন জাপানি মিডফিল্ডার আয়া মিয়ামা এবং সম্প্রতি অবসর নেয়া জার্মান স্ট্রাইকার সেলিয়া সাসিককে। বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতলেন বার্সেলোনার লুইস এনরিকে। তিনি হারিয়েছেন পেপ গার্দিওলা এবং চিলিকে কোপা আমেরিকা উপহার দেয়া জর্জ সাম্পাওলিকে। নারী ফুটবলে কোচ অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী দলের কোচ জিল এলিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.