আসছে জিকা ভ্যাকসিন!

জিকা ভাইরাসের মহামারি নিয়ে বিশ্বজুড়ে যখন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে, তখন ভারতের একটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি দাবি করল, জিকা ভ্যাকসিন তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে তারা। জিকা আতঙ্কের বিরুদ্ধে নিঃসন্দেহে এটি সুসংবাদ।

ভারতের হায়দরাবাদের ‘ভারত বায়োটেক’ নামের ভ্যাকসিন ও বায়ো থেরাপি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বুধবার দাবি করেছে, জিকা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে ব্যাপক অগ্রগতিতে আছে তারা। তারা গবেষণাগারে দুইটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। যার মধ্যে একটি প্রাণীর ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের উপযোগী হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হলে তা মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে। জিকা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিনে সফলতা পাওয়া যাবে বলে তারা দৃঢ় বিশ্বাসী।

ভারত বায়োটেক বড় বড় রোগের প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করে এবং বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির সমাদর রয়েছে। গত বছর তারা জিকা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজে হাত দেয়।

ভারত বায়োটেকের সিএমডি কৃষ্ণা এলা বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস জিকাভ্যাক (জিকার ভ্যাকসিন) তৈরিতে আমরা সবার চেয়ে এগিয়ে আছি এবং সম্ভবত আমরাই প্রথম জিকাভ্যাকের প্যাটেন্টের জন্য প্রস্তাব দিতে যাচ্ছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের উল্লেখ করে কৃষ্ণা এলা বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ২৩ দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এর মধ্যে মহামারি আকার নিয়েছে ব্রাজিলে। ২০১৫ সালে দেশটিতে ৩ হাজার ৫৩০টি শিশু মাইক্রোসেফ্যালি নিয়ে জন্মেছে। মাইক্রোসেফ্যালি বলতে বোঝায় নবজাতকের মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, ব্রাজিলে মাইক্রোসেফ্যালির জন্য জিকা ভাইরাস দায়ী।

এডিস মশার কামাড়ে জিকা ভাইরাস সংক্রমিত হয়। মানবদেহে এডিসের কামড়ে ইয়োলো ফেভার, ওয়েস্ট নিল এবং ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়ায়।

জিকা ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে বিশ্বের চিকিৎসাসম্পর্কিত শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো জিকা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে মাথা ঘামাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে গবেষণামূলক কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.