আসছে ‘হিরোজ অফ ৭১ রিট্যালিয়েশন’
মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে নির্মিত ভিডিও গেম ‘হিরোজ অফ ৭১ রিট্যালিয়েশন’ স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সেদিন গুগল প্লেতে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়া হবে গেমটি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গেমটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘হিরোজ অফ ৭১’ মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে তৈরি একটি গেম। যারা তৈরি করেছেন তারা সবাই ছাত্রছাত্রী। তাদের মেধার তুলনা হয় না। আমরা গেমটি সম্পর্কে জানার পর নিজ উদ্যোগে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে ৯ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে বিভিন্ন গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউল আলম এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফায়েত হোসেন লতিফ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘হিরোজ অফ ৭১’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রথম সফল মোবাইল গেম। গুগল অ্যানালিটিক্স ডাটা অনুযায়ী গেমটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার বার ডাউনলোড হয়েছে। ইতোমধ্যে গেমটি খেলছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৬ জন, গেমটির টোটাল সেশন সংখ্যা ৪৯ লাখ এবং ইউজার রেটিং ৪ দশমিক ৭। গেমটির নির্মাতারা জানান, ‘হিরোজ অফ ৭১ রিট্যালিয়েশন’ নামের নতুন এই গেমে থ্রিডি গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন পরিবেশকে তুলে ধরা হবে। ‘হিরোজ অফ ৭১ রিট্যালিয়েশন’ এর কাহিনী শুরু হয়েছে ‘প্রিক্যুয়েল হিরোজ অফ ৭১’- এর কাহিনীসূত্রের সঙ্গে মিল রেখে। শামসু বাহিনী বরিশালে শনির চরে একটি পাকিস্তানি ক্যাম্প দখল করে এবং শত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যুদ্ধ শেষে তারা জয়লাভ করলেও সদস্য সজল শহীদ হয়। শামসু বাহিনী সহযোদ্ধার মৃত্যুতে প্রতিশোধের শপথ নেয়। এবার তাদের সামনে নতুন মিশন। শনির চর থেকে কিছুদূরে উল্লারহাটে একটি পাকিস্তানি টর্চার ক্যাম্পে কয়েকজন নারীকে অপহরণ করে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বীরাঙ্গনাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসাও শামসু বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জিং। নির্মাতারা বলেন, ‘গেমটির মাধ্যমে দেশের নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি আরও আগ্রহী করে তোলা আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই গেমটি খেলার সময় গেমারকে একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে সচেতন করে তোলা এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও আগ্রহী করে তোলাও এই গেমটি তৈরির পেছনে অন্যতম উদ্দেশ্য।’