এই জন্যই তিনি আইনস্টাইন
তিনি বলেছিলেন সেই একশত বছর আগে, এতদিন গবেষণার পর আবার প্রমাণিত হলো আইনস্টাইনের তত্ব্টিই সঠিক। মহাজাগতিক তরঙ্গের যে কথা তিনি বলেছিলেন বাস্তবেও তা রয়েছে আর এই জন্যই ইহজগতে না থেকেও আমাদের কাছে বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আইনস্টাইন ।
সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে, একশ বছর আগে আইনস্টাইনের খাড়া করা তত্ত্বের সম্যক প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা। হ্যাঁ, মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বলে কিছু আছে। দুটি লুপ্ত ব্ল্যাক হোলের ওপর নজরদারি চালিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন একশ বছর আগে আইনস্টাইন যে মহাজাগতিক তরঙ্গের কথা বলেছিলেন বাস্তবে তা রয়েছে। নির্ভুলভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের হদিশ পাওয়ার জন্য আমেরিকার ওয়াশিংটন স্টেটের হ্যানফোর্ড ও লুসিয়ানার লিভিংস্টোনে নজরদারি শুরু করে ‘লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি’ (লাইগো)-র দু’টি যন্ত্র।
বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পদার্থবিজ্ঞানী ডেভিড রিটজে জানিয়েছেন, মহাজাগতিক তরঙ্গ ধরা দিয়েছে তাদের এই পর্যবেক্ষণ যন্ত্রে। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবার মহাজাগতিক তরঙ্গের হদিশ পান তাঁরা। তবে নিশ্চিত হতে পারেননি। তিন মাস ধরে ক্রমাগত পরীক্ষানিরিক্ষার পর তাঁরা এবার নিশ্চিত হয়েছেন। ১৯১৬ সালে তার ঐতিহাসিক সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইনস্টাইন মহাজাগতিক তরঙ্গের কথা বলেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তার সরাসরি প্রমাণ পাননি। বৃহস্পতিবার সে প্রমাণ পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছসিত বিজ্ঞান জগত। বেঁচে থাকলে আজকের আবিষ্কারের পর কি বলতেন বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন? যাকে ভালোবেসে ভক্তরা আলবার্ট নামে ডাকেন। আলো সরলরেখায় চলে। চিরাচরিত এই ধারণাকে নস্যাৎ করে দিয়ে আইনস্টাইন বলেছিলেন, মহাবিশ্বে চলার পথে যখন কোনো কঠিন পদার্থের গা ঘেঁসে আলো যায় তখন সরলরেখা ছেড়ে কঠিন পদার্থের দেকে কিছুটা ঢলে যায়। দু দশক পর এক সূর্যগ্রহণের দিন বিজ্ঞানীরা তার প্রমাণ পেয়েছিলেন। তার আবিষ্কৃত তত্ত্বের বাস্তব রূপ রয়েছে তা আইনস্টাইনকে জানানো হলে তিনি নাকি বলেছিলেন, ‘এটা না হলে ঈশ্বরের প্রতি করুণা হত।’
বৃহস্পতিবার তিনি বেঁচে থাকলে আরো একবার ঈশ্বরকে করুণা করার কথা বলতেই পারতেন।