একাত্তরের কন্যা জায়া জননীরা
প্রকাশনী: অনন্যা
একাক্তর ছিল আমাদের আত্মপরিচয়ের বছর। লেবুটা দেখতে কীরকম সেটা বড় কথা নয়। লেবুটা চিপলে রসটা কীরকম সেটাই বড় কথা। স্বাভাবিক সময়ে আমাদের আচরণ একরকম। আসল পরিচয়-হচ্ছে তাদের ক্রান্তিকালের আচরণ। একাত্তরের সমাজ ছিল রক্ষণশীল। নারী এবং পুরুষের মধ্যে ব্যবধান ছিল ব্যাপক। মুক্তিযুদ্ধে সেই ব্যাপক অনেকটাই ঘুচিয়ে দেয়। তখনই আবিষ্কার করা হয় অন্তপুরের রমণীদের দেশপ্রেম পুরুষদের চেয়ে কোনোঅংশেই কম নয় তাদের ত্যাগ, শ্রুম ও নিষ্ঠা পুরুষদের চেয়ে ঢের বেশি। একাত্তর একইধারে নিজেদের আবিষ্কারের বছর। আমাদের রমণীকুলের ওদার্য, মহানুভবতা ও কষ্ট সহিষ্ণু সবাদানের পরিচয় পাই আমরা একাত্তরে। এর জন্য কোন ময়নাতদন্ত করতে হয়নি। তারাই ত্যাগ স্বীকার করেছে সবচেয়ে বেশি। আপাত বাহ্যিক না হলেও তাদের শ্রমদাও পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের নারীকূলের সেই ত্যাগের কথাই প্রতীকভাবে হলেও বিশদভাবে ওঠে এসেছে মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার কলমে তার একাত্তরের কন্যা, জায়া, জননীরা গ্রন্থে। বইয়ের চরিত্রদের তিনি চিত্রায়িত করেছেন অতলষ্পর্শী মমতায়।