এক নজরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : শুরু থেকে ‘১৬

ক্রিকেট ইতিহাসের নবীনতম সংস্করণ হলো টি-টয়েন্টি ক্রিকেট। ২০০৫ সালে ইতিহাসের প্রথম টি২০ ম্যাচ আয়োজিত হয়। এরপর ২০০৭ সালে প্রথম কোন টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

 

 

 

 

 

 

 

 

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপের আসর বসে। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে সে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সে আসরের অন্যতম চমক ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশের সুপার এইটে যাওয়া। সুপার এইটে কোন জয় না পায় নি বাংলাদেশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পরের আসর দুই বছর পর ২০০৯ সালে বসে ক্রিকেটের তীর্থভূমি ইংল্যান্ডে। আগের বার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে গেলেও সেবার শিরোপা হাতছাড়া করে নি পাকিস্তান। সে আসরে গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে সুপার এইটের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

পরের আসর বসে ঠিক এক বছর পর ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দ্বৈরথে জয় পায় ইংল্যান্ড। তখনকার সময় ওয়ানডে ফরম্যাটের বিশ্বকাপে চারটি ট্রফি জিতলেও টি২০ বিশ্বকাপ জেতা হয় নি অজিদের। ২০১০ সালের টি২০ বিশ্বকাপেও জয়হীন থাকতে হয় বাংলাদেশকে। আবারও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়।

২০১২ টি২০ বিশ্বকাপের আসর বসে শ্রীলঙ্কায়। প্রথমবারের মত টি২০ বিশ্বকাপ এশিয়ার মাটিতে বসে। টুর্নামেন্টে সুপার এইট পর্বে ছিলো ২ টি সুপার ওভারের নাটক। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই ফাইনালিস্ট দলই সুপার ওভার খেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু একটিতেও জিতলো না কিউইরা। স্বাগতিক হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ফাইনালের তুমুল লড়াইয়ে ক্যারিবীয়দের কাছে হারতে হয় সাঙ্গাকারা-জয়বর্ধনের দলকে। মজার বিষয় হলো, গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচও জিতে নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ! অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত হলে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে সুপার এইটে উঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে আসরেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে।

টি২০ বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর বসে বাংলার মাটিতে। ২০১৪ সালের আসরে এবার ভিন্নভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে আইসিসি। বাছাই-পর্ব থেকে উতরে আসা ছয়টি সহযোগী দেশ টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে নিচের দুই দলের সাথে খেলে। আটটি দল আলাদা দুই গ্রুপে লড়াই করে। এই পর্বের নাম ‘কোয়ালিফায়ার’। আফগানিস্তান ও নেপালের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর হংকংয়ের কাছে হারলেও সুপার টেনে উঠে বাংলাদেশ। কোয়ালিফায়ারের অন্য গ্রুপে নেদারল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের এক অসাধারন ম্যাচ দেখেছিলো ক্রিকেটবিশ্ব। সুপার টেনে জয়হীন থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু আরেক গ্রুপ থেকে আসা নেদারল্যান্ড ঠিকই ইংল্যান্ডকে হারায়। ২০০৯ ও ২০১২ সালে ফাইনালে কাঁদতে হয়েছিলো শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু এবার ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলংকা।

টি২০ বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর বসতে যাচ্ছে ভারতে। গতবার যেভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছিলো ঠিক সেভাবেই আবারও কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আজ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নাগপুরে মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে-হংকং। পরের ম্যাচে একই ভেন্যুতে লড়বে আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ধর্মশালায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.