এরশাদের সেই দিনগুলো . . . . হৃদয়ের রানী, হৃদয়ের ধন, খুশি বউ, খুশি পাগলী, সোনা বউ, ওগো দুষ্টু মেয়ে, নটি গার্ল, বিরহিনী

বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বৈরাচার বলেন আর নায়ক বলেন কিংবা প্রেমিক বলেন তিনি হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বাংলাদেশের রাজনীতির বহুল আলোচিত এক চরিত্র। এবার আত্মজীবনী নিয়ে আসছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তার আত্মজীবনীর মোড়ক উন্মোচন হবে আজ। নাম-‘আমার কর্ম, আমার জীবন।’ তবে এই বইতে নানা স্পর্শকাতর বিষয় এড়িয়ে গেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার জীবনের বহুল আলোচিত নানা অধ্যায় নিয়ে থেকেছেন নীরব। সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় তার আত্মজীবনীর অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়েছে, তার কিছু অংশ এখানে আমরা প্রকাশ করলাম।

আমার বিয়ে নামক অধ্যায়ে রওশন প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন এরশাদ। তিনি বলেন, বিয়ের পর সংসার করার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও এক বছর। রওশন ওদের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিল। আমি আজ এখানে কাল ওখানে। এরশাদ বইতে আরও লিখেন, সেসময় স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের কাছে চিঠি পাঠাতো। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। চিঠির প্রথমে রওশনকে অনেক কিছু সম্বোধন করতাম। তারমধ্যে যেগুলো মনে আছে, হৃদয়ের রানী, হৃদয়ের ধন, ওগো মোর জীবন সাথী, খুশি বউ, খুশি পাগলী, সোনা বউ, খুকু বউ, ওগো দুষ্টু মেয়ে, নটি গার্ল, বিরহিনী। তার ডাকনাম ডেইজীকে ডেজু, ডেজুমনি, ডেজুরানী বলে সম্বোধন করতাম। আর চিঠির শেষে আমার নামের জায়গা লিখতাম, পেয়ারা পাগল সাথী, বড্ড একাকী একজন, প্রেম-পূজারি, বিরহী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.