কবি-র স্মৃতি

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী

কবি আল মাহমুদের সাথে আমার ‘পরিচয়’ ১৯৭১ সালে। দেশে তখন মুক্তিযুদ্ধ চলছে। কবি আল মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধের কলমসৈনিক হয়ে কলকাতায় আর আমি চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত পল্লীর এক বালক; পড়ি ক্লাস সিক্সে। তবুও কবি-র সাথে আমার ‘পরিচয়’ হলো। কিভাবে, তা-ই বলছি।

চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের যে উপজেলায় (তখন বলা হতো থানা) আমার বসত, সেটি অনেকটা প্রাকৃতিকভাবেই সুরক্ষিত – দু’দিকে নদী, একদিকে পাহাড়, আরেকদিকে সমুদ্র।

হানাদার পাকিস্তানী সেনারা তখন গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। খুন-ধর্ষণ-লুণ্ঠন চালাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা গড়ছে প্রতিরোধ। কিন্তু আমাদের এলাকায় পাকিস্তানী সেনারা আসতে ভয় পাচ্ছে। কারণ ওই ‘প্রাকৃতিক দুর্গ’। এদিকে স্কুলও বন্ধ, লেখাপড়ার বালাই নেই। হানাদার আগমন-আশঙ্কায় বড়দের দুশ্চিন্তা আমাদের আর কতোটা পীড়িত করতে পারে! একটু ছুঁয়েই উড়ে যায়। লেখাপড়াবিহীন মুক্ত জীবনে আমাদের আনন্দের সীমা নেই।

স্কুলের বইকে তেমন পছন্দ না-করলেও ছাপার হরফ আমাকে অজগরের নিঃশ্বাসের মতোই টানতো। আমি তার অপ্রতিরোধ্য টানে ঢুকে যেতাম মুদ্রিত যে-কোনো-কিছুর ভেতরেই। বড় ভাইদের উঁচু ক্লাসের বাংলা বই, দ্রুতপঠন, ‘একের ভেতর পাঁচ’ নামে হরলাল রায়ের ঢাউশ রচনা বই থেকে শুরু করে পত্রপত্রিকা – সবেই আছি আমি।

এ সময় আমার হাতে এলো অপূর্ব এক সংকলন। ক্রাউন সাইজ ম্যাগাজিনটির নাম ‘বাংলা ডাইজেস্ট’। সম্পাদক সম্ভবত মবিন উদ্দীন আহমদ। গল্প কবিতা প্রবন্ধ ফিচার সবই আছে, তবে সবই অন্যান্য পত্রিকা থেকে সংকলিত। প্রত্যেকটি লেখার নিচে দেয়া আছে কোন পত্রিকার কোন সংখ্যা থেকে নেয়া হয়েছে, সেটা।

এই বাংলা ডাইজেস্ট সংকলনেই পড়ি একটি কবিতা – ‘পথের বর্ণনা’। গদ্যকবিতা। লিখেছেন কবি আল মাহমুদ। তখন আমার যে-বয়স ও পড়াশোনার পরিধি, তাতে গদ্যকবিতা আমার ভালো লাগার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু কী আশ্চর্য, আল মাহমুদের কবিতাটি আমাকে নাছোড়বান্দার মতো টেনে ধরে। আমি বার-বার পড়তে থাকি চেনা-অচেনার কুয়াশায় দুলতে থাকা একটি অলৌকিক পথের বর্ণনা :
বামে যদি যাও পান্থ, শোনো তবে বামের বিধান
বড়ই কঠিন রাস্তা, তৃষ্ণার সড়কে …

হঠাৎ এক ধাক্কায় আমি যেন এক অচেনা তৃষ্ণার সড়কে উঠে যাই। আমার নিজেকে এবং সবকিছুকে কেমন অচেনা মনে হতে থাকে।

কবি আল মাহমুদের সাথে এভাবেই আমার ‘পরিচয়’। তারপর সে পরিচয় আরো বিস্তৃত হতে থাকে। আমি আল মাহমুদের অনেক কবিতা ও গদ্যের সাথে পরিচিত হতে থাকি। তার কবিতা পড়ে তৃপ্ত ও তৃষ্ণার্ত হতে থাকি।

স্বাধীনতার পর আল মাহমুদ ঝুঁকে পড়েন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া ‘বিপ্লবীদের’ দল জাসদের (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) দিকে। তিনি তাদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখেন। ওই দলের মুখপত্র দৈনিক গণকণ্ঠের সম্পাদক নিযুক্ত হন। শেখ মুজিবের ক্ষোভের শিকার হয়ে জেলে যান, আবার তারই (মুজিব) অনুকম্পায় জেল থেকে মুক্ত হন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে যোগ দেন।

সুদূর গ্রামে বসেও আমি প্রিয় কবি-র সব খবর কিভাবে যেন পেয়ে যাই।

সম্ভবত ১৯৭৪ সালের দিকে প্রকাশনা সংস্থা বর্ণমিছিল প্রকাশ করে আল মাহমুদের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘পানকৌড়ির রক্ত’। পত্রপত্রিকায় বইটির আলোচনা দেখে মনে আফসোস জাগে, ইস, যদি পড়তে পেতাম! তারপর বড় ভাইদের কল্যাণে একদিন বইটি বাড়িতে এসেও যায়। আমি যথারীতি ঝাঁপিয়ে পড়ি। ‘পথের বর্ণনা’ পড়ে এক নতুন কবিতা ও উপলব্ধির অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এবার আরেক অভিজ্ঞতা – অপরূপ গদ্যের, নতুনতর উপলব্ধির।

স্কুল-কলেজের গণ্ডি ডিঙিয়ে এক সময় পা রাখি বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠে। আল মাহমুদের আরো অনেক লেখার সাথে পরিচয় ঘটতে থাকে। কবি-র হাহাকারধ্বনি ‘কোনোদিন কোনো নারী তার তরে মাখেনি কাজল’ পড়ে হৃদয় শীতের সন্ধ্যার মতো ধূসর বেদনায় ছেয়ে যায়। ‘চক্রবর্তী রাজার অট্টহাসি’ পড়ে যেন পথ হারিয়ে ফেলি।

দ্বিতীয় পর্ব
১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে পেশাসূত্রে আমি চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসি। ওই বছরের শেষ দিকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে পতন ঘটে স্বৈরশাসক এরশাদের (আমি পরিচিতজনদের সাথে মজা করি – আপনারা তো এতোদিনেও পারলেন না, শেষে আমাকেই আসতে হলো)।

এরশাদের পতনের সাথে-সাথে দেশে স্বাভবিক ও অস্বাভাবিক অনেক পরিবর্তন ঘটে যায়। এসব পরিবর্তনের গরম হাওয়া লাগে কবি আল মাহমুদের গায়েও। এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে যে এশীয় কবিতা উৎসব হয়েছিল তাতে অন্য অনেকের সাথে আল মাহমুদও ছিলেন। এরশাদ এখন নেই, অতএব এই সুযোগে আল মাহমুদকেও যদি ‘নেই’ করে দেয়া যায়, সেই অপচেষ্টায় মেতে উঠলেন অকিঞ্চিৎকর কেউ-কেউ। তাদের জানা ছিল না, রাজার পতন ঘটে, সত্যিকারের কবি ও কবিতা অনন্তকাল জেগে থাকে।

আমি যে পত্রিকাটিতে কাজ নিয়ে ঢাকা এসেছিলাম, এ সময় সেটি হঠাৎ অর্থনৈতিক দুর্বিপাকে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা পেশার ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ বেকারত্বের কবলে পড়ি আমি। অবশ্য স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে একটা-দু’টো করে পত্রিকা-ম্যাগাজিন বের হতে শুরু করেছে তখন। জীবীকার প্রয়োজনে তারই একটি-দু’টিতে লেখালেখি করি। এ সময় একদিন শিল্পী মোমিন উদ্দীন খালেদ খবর দিলেন একটি নতুন ম্যাগাজিনের। ফকিরাপুলের একজন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম (এখন মরহুম) বের করবেন এটি। নাম পালাবদল। কবি আল মাহমুদ থাকবেন। ‘আপনি কাজ করবেন?’ জানতে চান মোমিন ভাই।

কী কাজ, কত বেতন – কিছুই না-জেনে রাজি হয়ে যাই আমি। এসব আমার মাথায়ই আসেনি। আমার মাথায় তখন শুধু ‘আল মাহমুদ, আল মাহমুদ’।

পালাবদল-এর সার্বিক সম্পাদনা ও ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্বটি ছিল মূলত মাসুম ভাইয়ের (মাসুমুর রহমান খলিলী; এখন একটি জাতীয় দৈনিকের উপ-সম্পাদক) ওপর। তার সাথে কথা বলে মোমিন ভাই আমাকে ঢুকিয়ে দিলেন পালাবদল-এ।

পালাবদল অফিস আর আমার বাসা একটা গলির এ মাথা-ওমাথা। আমি থাকি নটর ডেম কলেজের পেছনে একটা পোড়োবাড়িতে, আর পালাবদল অফিস ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের গলির মুখে। কম্পোজ ও ছাপা হয় বাসা ও অফিস – দু’টোর মাঝখানে আরামবাগের মাসরো প্রিন্টিঙয়ে।

পালাবদল অফিসেই দুরু দুরু বুকে একদিন দেখি কবি আল মাহমুদকে। সালাম দিই। তিনি আমাকে লক্ষ্যও করেন না।

পালাবদল-এ আল মাহমুদের প্রধান কাজ একটি ধারাবাহিক উপন্যাস লেখা, আর সম্পাদকীয়টি লিখে দেয়া। এর পাশাপাশি গল্প-কবিতা নির্বাচন তো আছেই।

ঝড়ঝাপ্টার মধ্যেও আল মাহমুদ তখনও তখনও শিল্পকলা একাডেমিতে আছেন। সেখান থেকে ফেরার পথে পালাবদল অফিসে আসেন। তিনি এলেই হৈ চৈ পড়ে যায়। তার জন্য নাস্তা, সিগারেট আনা হয়। একটুক্ষণ গল্পস্বল্পের পর নিজ রুমের দরজা ভেজিয়ে দিয়ে তিনি লিখতে বসে যান। কোনো দিন কিছু লিখেন, কোনো দিন কিছুই না। আবার কোনো দিন অনেকটা লিখে ফেলেন।

এই নিত্য আসা-যাওয়ার মধ্যে তার সাথে সালাম বিনিময় হয়। তিনি আমার দিকেও তাকান। তবে, আমি নিশ্চিত, তিনি আমাকে দেখেনও না।

এরই মধ্যে আমরা ‘আবিষ্কার’ করে ফেলি, রুটিন ধরে প্রতিদিন লেখালেখি করাটা কবি সাহেবের মোটেই পছন্দ নয়। তুমুল আড্ডা, সুখাদ্য ও দামী সিগারেট – এসবেই তার প্রবল আকর্ষণ। অন্য কিছু নয়। কিন্তু তা কি আর হয়!

পালাবদল-এ তখন আল মাহমুদের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘ডাহুকী’ ছাপা হতে শুরু করেছে। প্রথম কিস্তি থেকে পাঠকেরা এটিকে সাদরে গ্রহণ করেছে। সুতরাং কোনো গতিকেই কোনো কিস্তি খেলাপ করা যাবে না। এটি সরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ নয়।

কিন্তু কবি বার বার পিছলে বেরিয়ে যেতে চান। ‘আজ শরীরটা ভালো নেই’ – টেলিফোনে এ কথা জানিয়ে দিয়ে কোনো-কোনো দিন অফিসেই আসেন না। যেদিন আসেন সেদিন কোনোদিন হয়তো আড্ডায়-গল্পে বেলা চলে যায়, এক লাইনও না-লিখে ফিরে যান কবি। কোনো দিন আবার লেখার মুডেই থাকেন না তিনি। এদিকে পালাবদল আরেক সংখ্যা বের করার সময় ঘনিয়ে আসে।

মাসুম ভাই (মাসুমুর রহমান খলিলী) দেখেন, এ তো বড় বিপদ! শেষে একটা ব্যবস্থা হয়। ব্যবস্থাটা এ রকম : পত্রিকা বেরুনোর পর কয়েক দিন কবি কিছু না-লিখলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু শেষ দিকে সব আড্ডা বন্ধ। তাকে প্রায়-বন্দী রেখে লেখা আদায় করে নিতে হবে। এক-দু’জন পাহারায় থাকবে, যাতে তিনি ‘পালিয়ে’ যেতে না-পারেন।

কে থাকবে পাহারায়? মাসুম ভাই নিজে একটা দৈনিকের সিনিয়র রিপোর্টার। সময়ে-অসময়ে তার নানা অ্যাসাইনমেন্ট থাকে। কাজেই এ কাজ তার নয়। আবু হেনা আবিদ জাফর তখন ডাক্তার হই-হবো অবস্থায়। তারও সময় নেই। মিলন ইসলাম (এখন প্রবাসে) সবে বিয়ে করেছেন। নতুন বৌকে একলা বাসায় ফেলে রেখে অফিসে বসে থাকা তার কি মানায়? বাকি রইলাম আমি আর আমার সাথে জসীম, অর্থাৎ জসীম মাহমুদ। ফেনীর ছেলে জসীম দারুণ করিৎকর্মা। বাঘের দুধ দুইয়ে আনতে বললেও ছুটে যাবে। দুধ আনতে না-পারলে লেজের কিছু পশম হলেও ছিঁড়ে আনবে।

মাসুম ভাই বেরোনোর সময় কবিকে বলে যান, ‘মাহমুদ ভাই, আজ কিন্তু কিস্তিটা শেষ করেই যাবেন। এই হুমায়ুন ভাই আর জসীম রইলো। আপনার কিছু দরকার হলে বলবেন।‘

মাসুম ভাই তার স্বভাবসিদ্ধ নিচু গলায় বলেন কথাগুলো, কিন্তু তাতে থাকে আদেশ ও আব্দারের মিশ্র ব্যঞ্জনা। কবি-র পক্ষে তা উপেক্ষা করা প্রায়ই সম্ভব হয় না। তিনি নিজের টেবিলে বসে একমনে সৃষ্টি করে চলেন ‘ডাহুকী’। আমি ও জসীম পাশের রুমে বসে অপেক্ষা করি। লেখা শেষে কবি চলে যেতে চান। তার ক্লান্ত চেহারা দেখে আমাদের খুব মায়া লাগে। আমরা তাকে আরেক কাপ চা খেয়ে যেতে বলি। কোনো-কোনো দিন কবি রাজি হন। জসীম দৌড়ে যায় কবি-র জন্য চা আনতে।

একদিনের কথা। তখন রমজান মাস। আমি সেদিন কী কারণে যেন রোজা রাখতে পারিনি। তাই ভাবলাম, ইফতারের সময়টায় পালাবদল অফিসে গিয়ে পালিয়ে থাকি। গিয়ে দেখি, অফিসে কবি আল মাহমুদ। তাকে যথারীতি ‘পাহারা’ দিচ্ছেন মিলন ইসলাম। আমাকে দেখে মিলন ইসলাম যেন হাতে চাঁদ পেলেন। তিলেকমাত্র বিলম্ব না-করে তিনি পগারপার। এর একটু পরেই রুম থেকে বেরোলেন কবি। তারও একই আর্জি : ‘আজ আর ভালো লাগছে না। হুমায়ুন, আমি যাই!’ তিনি এমন মিনতিভরে কথাগুলো বললেন, আমা খুব মায়া লাগলো।

এভাবেই রচিত হয়েছে অসাধারণ এক উপন্যাস ‘ডাহুকী’; এক প্রেমার্থী নারীর আর্তস্বর। ‘ডাহুকী’ শেষ হতে-না-হতেই শুরু হয় নতুন ধারাবাহিক ‘কাবিলের বোন’। দীর্ঘ এ উপন্যাসটি যখন শেষ হয়, তখন পালাবদল সিদ্ধান্ত নেয়, সদ্যসমাপ্ত উপন্যাসটি নিয়ে কবি-র একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হবে। সাক্ষাৎকারটি নেয়ার দায়িত্ব চাপে আমার ওপর। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি আবিষ্কার করি আরেক আল মাহমুদকে।

আমরা সাধারণত ‘শিক্ষিত’ বলে থাকি তাদেরকেই, যাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি অবশ্যই মূল্যবান, তবে মিডিওকারদের জন্য। ওসব ডিগ্রি-সার্টিফিকেট ছাড়াও মানুষ যে কতোটা শিক্ষিত হতে পারে, আল মাহমুদ তার জীবন্ত উদাহরণ। সাক্ষাৎকারটি নিতে গিয়ে সে-কথা নতুন করে বুঝলাম। আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম : ‘কাবিলের বোন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কে – কাবিল, রোকসান নাকি মোমেনা?’ আমার ধারণা ছিল কবি-র উত্তর হবে : ‘কেউ না। আমাদের ইতিহাসের একটি উত্তাল সময়।‘ কিন্তু আল মাহমুদ আমাকে চমকে দিয়ে বললেন, ‘শেখ মুজিব।‘ ব্যাখ্যা : শেখ মুজিব উপন্যাসের কোথাও প্রত্যক্ষভাবে নেই, কিন্তু পুরো সময়জুড়ে তিনি আছেন। সব চরিত্রের ভেতরে আছেন। ওই সময়ের তিনিই নায়ক।

প্রিয় কবি আল মাহমুদের সান্নিধ্যে আমার যৌবনের অনেকগুলো দিন কেটেছে। সব স্মৃতি যদিও অক্ষয় নেই, ঢেকে গেছে বিস্মৃতির ধূলোয়। আজ তিনিও অনন্তের পথে। কিন্তু তাতে কী, তিনি তো আছেন আমার বুকের ভেতরে; পরম শ্রদ্ধায়, গভীর ভালোবাসায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.