কবে প্রকাশ হবে সানি-তাসকিনের অ্যাকশন টেস্টের ফল
বাংলাদেশি বোলার আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে দুর্ভাবনা যেন কাটছেই না। প্রথমে শোনা গিয়েছিল মার্চের ১৬ তারিখেই সানির বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে। কিন্তু দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারেই আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিছু জানানো হয়নি আইসিসি’র তরফ থেকেও।
এদিকে তাসকিন আহমেদ বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১৪ মার্চ। কিন্তু তখন নিশ্চিত করে জানানো হয়নি ঠিক কবে প্রকাশ করা হবে এই ডানহাতি পেসারের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার ফল।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়ার নিয়ম ১৪ দিনের মধ্যে। তবে কোনো টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই রিপোর্ট দেয়ার নিয়ম রয়েছে।
২১ মার্চ ব্যাঙ্গালুরুতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তাসকিন-সানির রিপোর্ট এখনো হাতে না আসায় অস্বস্তিতে আছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর সেই অস্বস্তি হয়তো গড়াতে পারে অজিদের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে দল সাজানো এবং পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটা পর্যন্ত।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ শেষে সানি এবং তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মাঠের দুই আম্পায়ার। এরপরই তাদের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা করার জন্য দুই টাইগার বোলারকে পাঠানো হয় চেন্নাইয়ের পরীক্ষাগারে।সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।
যে কারণে সানি-তাসকিনের সঠিক ফল পাওয়া নিয়ে সংশয়!
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসির কর্মকাণ্ড ও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (ইউডব্লিউএ), যারা বোলিং অ্যাকশন নিয়ে দীর্ঘদিন আইসিসির সঙ্গে কাজ করেছে। প্রায় একবছর ধরে তারা আইসিসির সঙ্গে নেই। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, আইসিসির বর্তমান বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা খুবই দুর্বল, ত্রুটিপূর্ণ ও আপত্তিকর।
প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞদের মতে, আইসিসি বর্তমান যে পদ্ধতিতে ও যেভাবে অস্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষাগুলো করছে তা হাস্যকর, সন্দেহজনকও বটে।
ইউডব্লিউএ’র দাবি, আইসিসির বর্তমান স্বীকৃত তিনটি ল্যাবে পুরানো পদ্ধতিতে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে এখান থেকে সঠিক ফলাফল পাওয়া অসম্ভব। ইউডব্লিউএ বিশেষ চারটি পয়েন্টে বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতির বিপক্ষে। এক. বল করার মুহূর্তটি সঠিকভাবে নির্ধারন করা হয় না। যে কারণে স্পিনারদের ফলাফলও সঠিক আসেনা। দুই. অ্যাকশন পরীক্ষার মার্কার সঠিক স্থানে লাগানো হচ্ছে না। তিন. কনুই বাঁকা ও সোজা হওয়ার ভূমিকা ধরা হচ্ছে না। চার. দ্বিমাত্রিক ফুটেজ ও ছবিই ব্যবহার যা সঠিক পদ্ধতি নয়।
শুধু পরীক্ষা পদ্ধতিই নয়, ল্যাবগুলোতে কাজে নিয়োজিতদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ওই প্রতিষ্ঠানটি।
ইউডব্লিউএ’র অভিযোগ, ল্যাবগুলোতে অনেকক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ কর্মী দ্বারা পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ফলে তাতে ভুল থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ল্যাবগুলোর স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন আছে ইউডব্লিউএ’র।
ইউডব্লিউএ’র এই দাবির সঙ্গে অবশ্য একমত নয় আইসিসি। সংস্থাটি বর্তমান পদ্ধতিকে সঠিক বলে দাবি করছে। কিন্তু আইসিসির সেই দাবিকে অযৌক্তিক এবং অবৈজ্ঞানিক বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউডব্লিউএ।
৯ মার্চ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশি দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন আম্পায়াররা। নিয়মানুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে বোলারদের পরীক্ষা দিতে হয় আইসিসি স্বীকৃত ল্যাবে। সারা বিশ্বে আইসিসি স্বীকৃত ল্যাব আছে চেন্নাই, ব্রেসবেন ও কার্ডিফে। মানে তিন মোড়লের দেশে। বিডিলাইভ রিপোর্ট: