কিম জং উনের চীন সফর

গত কয়েক দিন ধরে চলা জল্পনা শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন চীন সফর করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটি।

বেজিংয়ে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে উভয় দেশ। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই উনের প্রথম বিদেশ সফর।

এ সপ্তাহের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার উচ্চ পর্যায়ের নেতারা ব্যবহার করেন এমন একটি ট্রেন যখন বেজিং’এ দেখা যায় তখন থেকেই এ নিয়ে গুজব শুরু হয়। এর আগে জাপানি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে একটি ট্রেন এসেছে। ওই ট্রেনেই ছিলেন কিম জং-উন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে উনের বৈঠক সফল হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক মিত্র দেশ চীন এবং সাধারণত পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আলাপ আলোচনার মধ্যস্থতা করে থাকে বেজিং।

উনের এ সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, কারণ এটিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক এবং দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উন এপ্রিল মাসেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। গত মাসেই উনের সঙ্গে বৈঠক করার অভূতপূর্ব প্রস্তাব গ্রহণ করেন ট্রাম্প।

বিশ্লেষকেরা আগেই ধারণা করেছিলেন, ওই বৈঠকের আগে চীন ও উত্তর কোরিয়া নিজেরা বৈঠক করবে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, উন চীনের নেতাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি পারমাণবিকীকরণ বন্ধে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ সংবাদ সংস্থা এ সফরকে একটি ‘মাইলফলক’ বলে অভিহিত করেছে।

উনের বরাত দিয়ে সিনহুয়া আরো বলেছে, যদি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রচেষ্টাগুলোকে শুভেচ্ছা জানাতে পারে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি করে, তবে কোরিয়া উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়টি সমাধান হতে পারে। সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.