কৃত্রিম টর্নেডো থেকে বিদ্যুৎ
প্রথমে তৈরি করা হবে সামান্য কিছু বাতাস। এরপর সেই বাতাসে পাক দেয়া হবে। এভাবে মানুষই সৃষ্টি করতে পারবে ঘূর্ণি। অবশেষে বাতাসের এ ঘূর্ণি থেকে উৎপাদন করা হবে বিদ্যুৎ।
কানাডীয় প্রকৌশলী লুইস মিশদ তার উদ্ভাবিত অ্যাটমোসফেরিক ভরটেক্স ইঞ্জিনের মাধ্যমে এভাবে সহজেই বাতলে দিয়েছেন ঘূর্ণি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া।
এখন পর্যন্ত ছোটখাটো পরীক্ষা চালালেও বড় পরিসরে এটি করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
এ তথ্য জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল।
ভরটেক্স যন্ত্রের ক্ষমতা যত বাড়ানো হবে, তত বড় পরিসরে ঘূর্ণি সৃষ্টি করা যাবে বলে জানিয়েছেন লুইস মিশদ। আর বড় পরিসরে ঘূর্ণি সৃষ্টি করলে সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে না বলেও ভরসা দিয়েছেন তিনি।
এ প্রক্রিয়ায় পাওয়ার প্লান্টগুলোর বর্জ্যতাপ থেকে শীতলীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘূর্ণি সৃষ্টি করা হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, বাতাসের স্বাভাবিক প্রবাহের ক্ষেত্রেও তাপের তারতম্যই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। এ তত্ত্ব কাজে লাগিয়েই মিশদ নতুন এ প্রযুক্তির ধারণা এনেছেন।
এ প্রকৌশলী জানিয়েছেন, মনুষ্যসৃষ্ট ঘূর্ণি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হবে খুবই কম। এটি তেল, গ্যাস বা অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধবও।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল সম্প্রতি এ প্রকল্প নিয়ে ‘ব্রেকথ্রু: এনার্জি অন দ্য এজ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানও প্রচার করে।
লুইস মিশদ জানান, একটি ভরটেক্স ইঞ্জিন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট। এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে কয়েক বছরের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের সংকট সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতারা যখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যস্ত, ঠিক তখনই লুইস মিশদ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন এ প্রযুক্তি হাজির করলেন।
তবে এ প্রযুক্তি কীভাবে আরো বড় পরিসরে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করা যাবে, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নন লুইস মিশদ।