কেউ রাজি হয়নি, পরে পাকিস্তান থেকে…

নেপোটিজম অর্থাৎ স্বজনপ্রীতি নিয়ে কম জল ঘোলা হলো না। এখনো সুযোগ পেলেই অনেকে তারকা-পরিবারের সন্তানদের খোঁচা মারতে ভোলেন না। তবে বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর বললেন, ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপ্রীতি নিয়ে জোর তর্ক চললেও প্রত্যেক ছবিতেই তাঁকে অডিশন দিতে হয়েছে। বর্ষীয়ান অভিনেতা অনিল কাপুরের মেয়ে সোনম।

সোনম কাপুর আরো বললেন, নারীকেন্দ্রিক সিনেমা ‘আয়শা’ ও ‘খুবসুরত’ সিনেমার কঠিন অভিজ্ঞতার কথা।

ভারতের বিনোদন সংবাদমাধ্যম ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোনম কাপুর বলেন, “কী যে কঠিন ছিল ‘আয়শা’ নির্মাণ, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আপনি কি জানেন, ‘খুবসুরত’ তৈরি করতে কী কষ্ট হয়েছিল? আমার সঙ্গে কোনো হিরোই কাজ করতে চায়নি। পরে পাকিস্তানের ফাওয়াদ খানকে পাই। পরে কী হলো, সেটা তো দেখেছেন। ফাওয়াদ অনেক বড় তারকা হয়ে গেল। ওর আত্মবিশ্বাস ছিল।”

সোনম কাপুরের দাবি, স্টার কিড হওয়া সত্ত্বেও ‘সাওয়ারিয়া’ ও ‘দিল্লি সিক্স’ তিনি পেয়েছেন নিজের যোগ্যতায়।

“যখন ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকি, প্রত্যেকেই বলা শুরু করল, ও তো রুপার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলল। ওরা জানতই না যে, আমি ‘সাওয়ারিয়া’ (২০০৭) ও ‘দিল্লি সিক্স’ (২০০৯) সিনেমা পেয়েছি অডিশন দিয়ে। যেসব ছবিতে কাজ করেছি, প্রত্যেকটিতেই অডিশন দিয়েছি। আমি ওইসব সাক্ষাতে যাওয়ার সামর্থ্য রাখি। এটাই সত্য,” বলেন সোনম।

‘দিল্লি সিক্স’ সিনেমা প্রসঙ্গে সোনম কাপুর বলেন, “যখন ‘দিল্লি সিক্স’ সিনেমা তৈরি হয়, তখন রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা ‘রং দে বাসন্তী’র কাজ করছিলেন। ওই সময় তিনি বিশাল মাপের নির্মাতা। প্রত্যেক নায়িকাই তাঁর ছবিতে কাজের জন্য মুখিয়ে থাকত। কিন্তু ‘সাওয়ারিয়া’ মুক্তির আগেই আমি চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কতবার যে অডিশন দিতে হয়েছিল আমাকে, আজ আর মনেও নেই। এমনকি রণবীর কাপুরের সঙ্গে ‘সাওয়ারিয়া’র জন্যও আমাকে অডিশন দিতে হয়েছিল। সত্যি বলছি, নিজের যোগ্যতাবলেই আমি ওসব সিনেমায় কাজ পেয়েছি।”

সর্বশেষ সিনেমা ‘এক ল্যাড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’য় সমকামী নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেন সোনম কাপুর, যদিও বক্স অফিসে তেমন আয় করতে পারেনি ছবিটি। এ ছবিতে প্রথমবারের মতো বাবা অনিল কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেন। ছবিতে আরো ছিলেন জুহি চাওলা, রাজকুমার রাও, অক্ষয় ওবেরয় ও রেজিনা কাসান্দ্রা।

সোনম কাপুর এখন দক্ষিণী তারকা দুলকার সালমানের সঙ্গে ‘দ্য জয়া ফ্যাক্টর’ ছবিতে কাজ করছেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস