কোনটা কিনবেন? ওভেন না মাইক্রোওয়েভ
মাইক্রোওয়েভ অনেক ক্ষেত্রে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয়। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন মাইক্রোওয়েভের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে
ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া মানা। আবার কম সময়ে খাবার গরম করার ঝামেলা কেইবা করতে চায়। প্রযুক্তি মানুষের যাপিত জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে নিঃসন্দেহে। তাই প্রযুক্তির উপহার ওভেন কিংবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্য নিচ্ছেন অনেকেই। সহজে ঝটপট খাবার গরম হচ্ছে, সময়ও বেঁচে যাচ্ছে অনেকটা। কিন্তু ওভেনে গরম করা খাবার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত কিংবা পরিবেশ সহায়ক, সে ব্যাপারে জেনে রাখুন—
একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে, মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে খাবারের ভিটামিনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সির দাবি ঠিক উল্টো। তারা বলছেন, মাইক্রোওয়েভ অনেক ক্ষেত্রে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয়। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-১ বা থায়ামিন মাইক্রোওয়েভের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে। ওভেনের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত খাবার নিরাপদ থাকে। যদিও বেশির ভাগ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ফ্যান রয়েছে, যার মাধ্যমে খাবারের নিরাপদ তাপমাত্রা বজায় থাকে। সেদিক বিবেচনায় মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার কিন্তু খারাপ না। খেয়াল রাখুন, প্লাস্টিকের পাত্র কিছু খাবারকে অতিরিক্ত গরম করে ফেলতে পারে। তাই কাচ কিংবা সিরামিকের পাত্র ব্যবহার করাই শ্রেয়।
এটা তো গেল স্বাস্থ্যের কথা। কিন্তু যদি পরিবেশের কথা বিবেচনায় আনা হয়, তবে মাইক্রোওয়েভ ওভেন নাকি সাধারণ ওভেন ব্যবহার করা ভালো, সেটাও বিবেচনা করা উচিত। পরিসংখ্যান বলছে, দুটি পণ্য একই রকম ফল দেয়। তবে মাইক্রোওয়েভে ওভেন যেহেতু আকারে ছোট। তাই বিদ্যুত্ ব্যবহার করে কম। খাবারও তৈরি হয় অনেক তাড়াতাড়ি। পরিবেশের দিক চিন্তা করলে মাইক্রোওয়েভই ভালো।
যদিও সার্বিকভাবে ব্যাপারটা তেমন নয়। খাবার অপচয় একটি বড় সমস্যা। তাই ওভেনে খাবার তৈরি করে খেলে সেটা যে শুধু দ্রুত তৈরি হচ্ছে, তা-ই না বরং খাবার নষ্টও হচ্ছে না। তবে খেয়াল রাখুন, বেশি খাবারের জন্য ওভেন এবং কম খাবারের জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা শ্রেয়। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি কাঁচা ফলমূল, সালাদ খাওয়া যায়।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনই হোক আর সাধারণ ওভেনই হোক না কেন, যতটা সম্ভব বর্জন করার চেষ্টা করা পরিবেশ ও আপনার জন্য ভালো। কেননা মাস শেষে বিদ্যুত্ বিলের খাতাটা যেমন হালকা থাকবে, তেমনি বিদ্যুত্ শক্তির অপচয় রোধ করাও সম্ভব। সবুজ জীবনযাপনে সচেষ্ট হোন যতটা পারা যায়।