কৌতুকাভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট!
কৌতুকাভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট!
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটে সাবেক কৌতুকাভিনেতা জিমি মোরালেস জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোটের লড়াইয়ে দেশটির সাবেক ফার্স্ট লেডি সান্দ্রা তোরেসের বিরুদ্ধে ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। খবর বিবিসি।
এক মাস আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট অটো পেরেজ মলিনা পদত্যাগ করার প্রেক্ষিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। মলিনাকে অভিশংসন করার পর সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। অটো পেরেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পেরেজ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নির্বাচনে ভোট গণনা সম্পন্ন হওয়ার আগেই সান্দ্রা পরাজয় স্বীকার করে নেন। ভোটের ব্যবধান ততোক্ষণে মোরালেসকে জয়ী করার জন্য যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি পদে অনভিজ্ঞ সাবেক টেলিভিশন কৌতুকাভিনেতার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াকে দেশটির অজনপ্রিয় রাজনৈতিক অভিজাত শ্রেণির প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভোট গণনার পর মোরালেস বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি গুয়াতেমালার জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েছি। ঈশ্বর সহায় হোন। সবাইকে ধন্যবাদ।’ তবে দেশটির এই গুরুতর রাজনৈতিক সংকটকালে ভোটারদের প্রতি জোরালো আহবান রাখার পরও ভোট পড়েছে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম।
মজার ব্যাপার হলো, মোরালেসের কৌতুকের একটি চরিত্র ছিল এক অকর্মণ্য রাখাল। যে কিনা ঘটনাক্রমে দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে পড়ে। এখন মোরালেসের অবস্থাটাও সেই রাখাল ছেলেটির মতোই।
তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনভার্জেন্স ফ্রন্ট (এফসিএন) এখনও শক্তিশালী অবস্থান ধারণ করতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তার সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি দুর্নীতির বিষয়টিকে সামনে রেখে জনগণের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তবে পুরো ব্যবস্থা থেকে দুর্নীতি দূর করাটা তার মতো একজন অনভিজ্ঞের জন্য হবে এক কঠিন পরীক্ষা। আর এতে তিনি কতোটুকু এগোতে পারেন সেটাই এখন দেখার পালা।