গোলাপি রঙে সেজেছে কলকাতা
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
এক মুহূর্ত যেন অবসর নেই সৌরভ গাঙ্গুলীর। ভারতের মাটিতে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট উদ্বোধনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তার ব্যস্ততা। এরই মধ্যে এলেন ম্যাচের ভেন্যু ইডেন গার্ডেনে। জানালেন, গোলাপি বলের ম্যাচ নিয়ে নিজের রোমাঞ্চের কথা। দিবা-রাত্রির টেস্ট ঘিরে কলকাতায় দর্শকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে প্রথম চার দিনের সব টিকিট! ইন্দোরে আগের টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে তিনদিনে। কলকাতায় বোলাররা পাবেন আরও বেশি সুবিধা, ম্যাচ শেষ হতে পারে আরও কম সময়ে। তবুও আগ্রহের কমতি নেই।
গোলাপি বলের ম্যাচকে ঘিরে যেন গোলাপি রঙে সেজেছে কলকাতা। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে জ্বলছে গোলাপি বাতি, কোথাও করা হয়েছে গোলাপি রং। স্টেডিয়ামের স্তম্ভ ঢেকে দেয়া হয়েছে একই রঙের কাপড় দিয়ে। ম্যাচকে ঘিরে ইডেনে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। উৎসবমুখর পরিবেশ। শুরু থেকে দিবা-রাত্রির টেস্টের বড় সমর্থক সৌরভ। বিসিসিআই প্রধান হওয়ার পর প্রথম সিরিজেই নিজের দলকে রাজি করান গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে। তার প্রস্তাবে রাজি হয় বাংলাদেশও, যারা এর আগে ফিরিয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। গোলাপি বলের ক্রিকেট সাড়া ফেলবে, অনুমান করতে পারছিলেন সৌরভ। তবে এতটা হবে ভাবেননি তিনিও। প্রথম চারদিনের সব টিকিট যে বিক্রি হয়ে যাবে, বুঝতে পারেননি তিনিও। ‘আমি রোমাঞ্চিত। চারদিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। শেষ কবে আমরা দেখেছি, কোন টেস্টে চারদিনের সব টিকিট বিক্রি হয়েছে?’
টেস্টে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাকবেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ঘণ্টা বাজিয়ে তারা শুরু করবেন ভারতের মাটিতে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়ে দু’জন প্যারাট্র–পার মাঠে দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও মুমিনুল হকের হাতে তুলে দেবেন গোলাপি বল। এমন অসংখ্য আয়োজন আর চমকে ভরা থাকবে ইডেন টেস্টের প্রথমদিন। লাঞ্চের সময় শচীন, গাভাস্কার, কপিল, রাহুল, অনিল সবার উপস্থিতিতে টকশো হবে। চা-বিরতির সময় গলফ কার্টে করে সাবেক অধিনায়করা মাঠ প্রদক্ষিণ করবেন। মিউজিক পারফরম্যান্স থাকবে। রুনা লায়লা, জিৎ গাঙ্গুলী, সৌমেন্দ্র ও সৌরজিতের পারফরম্যান্স থাকবে।’
অতিথিদের তালিকা বেশ লম্বা। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা পেয়েছেন আমন্ত্রণ। বাংলাদেশ ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনেকেই আছেন অতিথির তালিকায়। ভারতের অনেক সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার পেয়েছেন আমন্ত্রণপত্র। নিজের হাতে যতটুকু আছে, সাধ্যমতো করছেন সৌরভ। মাঠের খেলা তো আর তার হাতে নেই। তাই মাঠের খেলা কেমন হবে সেই প্রশ্নে থাকলেন নীরব। উৎসবমুখর একটা টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে দায়িত্ব দিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটারদের। মাঠে ম্যাড়মেড়ে ক্রিকেট হলে যে বৃথা যাবে সব আয়োজন।