চুমু . . . . . .
হৃদয়ের গহীনে ভালবাসার গন্ধ যারা পেয়েছেন তাদের কাছে চুম্বনের চমৎকারিত্ব নিয়ে বিশদে বলার প্রয়োজন নেই। আর যারা সে স্বাদ পাননি তারাও কল্পনা সুখে বঞ্চিত নন। তাই চুমুর তুলনা হতে পারে শুধু চুমুই। ভালবাসা, ভাল লাগা, প্রেম, বিচ্ছেদ, বিষাদ সবটা মাখামাখি করে পড়ে থাকে সে। চুমুর দুনিয়া ছাড়া প্রেম প্রেম রাজত্বটাই যেন এক নিমেষে মিথ্যে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু মন দেওয়া নেওয়াই নয়, চুমুর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আরও বেশ কিছু গুণ।
রক্তচাপ
চুমু খাওয়ার সময় এত ভাবি কি? কিন্তু সত্যিই চুমু খেলে কমে উচ্চরক্তচাপ, হাইপারটেনশন এবং দুশ্চিন্তার মতো ব্যধিগুলোও।
ব্যথা
চুমু খাওয়ার সময় যুগলের ব্যথার উপশম না হলেও মনের উপশম তো নিশ্চয় হয়।
হৃদপিণ্ড
চুমুর সঙ্গে সম্ভবত সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হৃদয়ের। তাই দেখা গিয়েছে, যারা হামেশাই একে অপরকে চুমু খান তাদের হৃদপিণ্ড অনেক বেশি সুস্থ থাকে।
অনাক্রম্যতা
শরীরে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলের ক্ষমতা রাখে ভালবাসার চুমু। শুধু তাই নয়, চুমু খেলে আইজিই অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়, এবং মাস্ট সেল থেকে হিস্টারিনের ক্ষরণও কমে। ফলে অ্যালার্জির হাত থেকে রক্ষা পায় আমাদের শরীর।
মুখের স্বাস্থ্য
ওয়াল হাইজিন ভাল রাখতেও চুমুর জুড়ি মেলা ভার। কিস করলে মুখের ভিতর লালা নিঃসরণ হয়। মুখের ভিতর নানান উৎসেচক ক্ষরিত হয়। ফলে ওরাল হেল্থ ভাল থাকে।
মুড ভাল রাখে
চুমুর জাদুর কথা ভুক্তভোগী সকলেই জানেন। আসলে চুমু খেলে আমাদের মস্তিষ্কে মুড ভাল করার হরমোন, ডোপামিন এবং সেরোটোনিন ক্ষরিত হয়। ক্ষরিত হয় অক্সিটোসিনও। যা পার্টনারদের মধ্যে রোমান্টিক মুড তৈরি করে।
মেইনস্ট্রুয়াল পেইন
চুমু খেলে শরীরে এন্ডরফিন তৈরি হয়, যা মেইনস্ট্রুয়াল পেইনকে কমাতে সাহায্য করে।
মাইগ্রেইন
মাথায় যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের মতো ক্রনিক ব্যথার থেকেও মুক্তি দেয় রয়েক মুহূর্তের গভীর একটা চুমু।
পেশী
কিস করলে ৩৪টি মুখে পেশি এবং ১১২টি পসট্রুয়াল পেশী একই সঙ্গে কাজ করে। ফলে ফেসিয়াল পালসি, মাসকুলার ডিসটোনিয়ার সম্ভাবনা কমায়।
ক্যালোরি
একটি সমীক্ষায় চিকিৎসক আলেক্সেন্ডার ডিউইস দেখিয়ে ছিলেন যারা প্রায়ই অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে কিস করেন তাঁদের প্রতি মিনিটে ২-৩ কিলো ক্যালোরি বার্ন হয়। সূত্র- আনন্দবাজার।