জাপানের সামরিক প্রস্তুতি, টার্গেট চীন
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি জাপানের জন্য একটি স্পষ্ট ও তাৎক্ষণিক সামরিক হুমকি। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার চেয়ে চীনকেই বড় হুমকি মানছেন টোকিওর সমর পরিকল্পনাবিদরা। বেইজিংকে চ্যালেঞ্জিং শত্রু হিসেবে দেখছেন তারা।
কয়েক বছর ধরেই সামরিক সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে চীন। বাড়ছে এ খাতের বাজেট বরাদ্দ। এরই মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটি। অথচ ওই এলাকার ওপর এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোরও দাবি রয়েছে।
জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্যের বড় বাজার হচ্ছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। দেশটির সামরিক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কয়েক দশকের সামরিক প্রভাবের ধারাবাহিকতায় প্রশান্ত মহাসাগরের জাপানি দ্বীপে অনুপ্রবেশের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে চীন। ওকিনাওয়ার দ্বীপের ওপর দিয়ে চীনা যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানের অপ্রত্যাশিত চলাচলকে হুমকি হিসেবে দেখছে টোকিও। তবে বেইজিংয়ের জন্য এটি তার বৈশ্বিক পরাশক্তি হয়ে উঠার একটি ধাপ বা অংশ মাত্র। টোকিওর নিহোন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নোজোমু ইয়োশিটোমি দেশটির একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, এমনকি আমরা এই লাঞ্ছনাদায়ক বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, তাদের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া আগামী মাসের গোড়ার দিকেই শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সাথে সিউলের সম্পর্কের বরফ গলা সত্ত্বেও তারা এমন ঘোষণা দিল। প্রতি বছর এ মহড়ায় হাজার হাজার স্থল সেনা অংশ নেয়। মহড়াটি দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ এ মহড়াকে উত্তর কোরিয়া বরাবরই উসকানিমূলক আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাবের পর উত্তর-দক্ষিণ সম্মেলন আয়োজনের আলোচনা চলায় ধারণা করা হচ্ছিল যে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার স্বার্থে এ বছর মহড়া নাও চালানো হতে পারে।
গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় পিয়ংচং উন্টার গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ায় মহড়াটি বিলম্বিত করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ও সিউল পরে জানিয়েছে যে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এ যৌথ সামরিক মহড়ায় গত বছরের সমসংখ্যক সৈন্য অংশ নেবে। রয়টার্স