জি-টোয়েন্টি সম্মেলন: প্রতিবাদের অন্য ভাষা

৭ জুলাই হামবুর্গে মিলিত হচ্ছেন জি-টোয়েন্টি নেতারা৷ তাঁরা এমন এক সময়ে এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, যখন তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ তুঙ্গে রয়েছে৷ অতীতে জি-টোয়েন্টির কোনো সম্মেলনে এই অবস্থা হয়নি৷

হামবুর্গের এই সম্মেলনেটি জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ৷ ম্যার্কেল নিজেই স্বীকার করেছেন সেকথা৷ তিনি বলেন, ‘‘চলতি বছর বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ আমি এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর কথা বলবো: সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, সংরক্ষণবাদ–  এসবই আমাদের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে৷ বিশ্ব বর্তমানে এক অস্থির অবস্থার মধ্যে রয়েছে, ঐক্যের অভাব স্পষ্ট৷’’

গেল রবিবার আন্তর্জাতিক সংগঠন অক্সফামের একটি প্রতিবাদের ভাষা ছিল এমনই৷ ধনী-গরিবের মাঝে বৈষম্য কমানোর ডাক দিয়ে এই মূর্তিগুলো বানায় তারা, যা দেখে বুঝতে কোনো সমস্যা হয়নি যে কাদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান৷

ব্যানার ও রঙীন জ্যাকেট পড়ে আলস্টার নদীতে নৌবহর সাজিয়েছে প্রতিবাদকারীরা৷ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই সমর্থন দিয়েছেন বিভিন্ন এনজিও-র এই প্রতিবাদে৷

প্রতিবাদকারীরা অনেক প্ল্যাকার্ড ইংরেজিতে লিখে এনেছেন৷ কারণ, তাঁরা চান তাদের বার্তাগুলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাক৷ বেশিরভাগ বার্তাই পরিবেশ সুরক্ষার জন্য তৈরি৷

সম্মেলনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ভবনের দেয়ালে বড় করে শান্তির বার্তা প্রকাশ করেছে একটি নার্সিং হোম৷ সেখানে লেখা হয়েছে, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে স্বাগত জানাই ৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.