জীবনটাকে বড়ো বেশি ছোট মনে হয়
জীবনটাকে বড়ো বেশি ছোট মনে হয়
…………………………………………………….
‘আসলেই জীবনটাকে বড়ো বেশি ছোট মনে হয়। মনে হয় আরো কিছু করার ছিলো, কিন্তু পারলাম না।
চাকুরিটাই কি আমার সবকিছু ছিলো ? যা কিছু দেবার ছিলো সবকিছু কি ওখানেই শেষ করে ফেললাম ?
আর কিছু কি করার নেই এখন ?
এই যে লেখালিখি করছি এগুলো আসলে কি ? কবিতা-গল্প-উপন্যাস লিখতে চেষ্টা করি, কেউ পড়ে এসব ?
অনেকেই লেখালিখিকে ফালতু মনে করে। কেন করে ?
হয়তো এসব ভেবেই এক ধরনের নীরবতা নেমে আসে জীবনের চরপড়া নদীতে। এক ধরনের নিঃসঙ্গতা গ্রাস করে।
বড়ো একাকী মনে হয় নিজেকে। একটা একটা দিন যায় আর মনে হয় এগিয়ে যাচ্ছি না ফেরার দেশে।
আমি যে বেঁচে আছি, মনে হয় এটাই একটা আশ্চর্য।
কতো স্মৃতি, কতো আনন্দ-বেদনা, কতো পাওয়া-না পাওয়া, অভিমান-সন্দেহ, ভালোবাসা-খুনসুটি……মনে পড়ে।
জীবন তো একটাই, বেঁচে থাকার মতো তেমন জীবন না পেলে কী হলো এ জীবন পেয়ে ?
জীবনের হিসেব মেলাতে গিয়ে এতো মাইনাস রেজাল্ট দেখে নিজেকে অযোগ্য-অথর্ব মনে হয়।
কতোজন কতোকিছু পেলো চোখের সামনেই (ধন্যবাদ ওদেরকে), আমি পেলাম একটি বিশাল শূণ্য।
এখন এই জীবনপ্রান্তে এসে মনে হচ্ছে কিছু হাহাকার আর কষ্ট ছাড়া নিয়ে যাবার মতো আমার হাতে কিছু নেই।
জীবনের খাতাটা শাদাই থেকে গেলো। শাদাই থাক্ …….
এখন আর কারো কাছে কিছু চাওয়ার নেই আমার, যদি চেয়ে থাকি মাফ করে দেবেন।
ভাবছি……জীবনের শেষ ক’টা দিন কীভাবে যায়…….।’
৬ অক্টোবর আমার জন্মদিন, জন্মদিনকে সামনে রেখে কথাগুলো লিখতে ইচ্ছে করলো, তাই লিখলাম।
………………………………………………………
শাহাবুদ্দীন নাগরী
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকা
