জ্বালানি তেলে সরকারের দায় ২৯ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে কমলেও এ খাতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তথা সরকারের প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার দায় আছে।
আর সেই দায় মেটাতেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো দাবি করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে গেলেও যে কোনো মুহূর্তে তা বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই বিবেচনায় তাৎক্ষণিকভাবে মূল্য পুন:নির্ধারণ করা হয় না। দায় মেটাতেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, অতীতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও জনগণের কথা চিন্তা করে সরকার স্থানীয় বাজারে সে অনুপাতে মূল্য বৃদ্ধি করেনি। ফলে স্থানীয় বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পরেনি। সরকার প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিয়েই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।
৬৮ টাকার অকটেন বিক্রি হচ্ছে ৯৯ টাকায়
মোস্তাফিজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজার হতে আমদানিকৃত জ্বালানি তেল দেশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সংসদে দেয়া তথ্য বিরণীতে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে অকটেন। প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৬৯ পয়সায় কিনে এটি বিক্রি করা হচ্ছে ৯৯ টাকায়। এছাড়া ডিজেল ৫০ টাকা ৬৭ পয়সায় আমদানি করে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়, কেরোসিন প্রতি লিটার ৫১ টাকা ৪ পয়সায় কিনে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়, ফার্নেস অয়েল ৩৮ টাকা ৪৪ পয়সায় কিনে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, জেট ফুয়েল ৫০ টাকা ৬১ পয়সায় আমদানি করে বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকায়।
৫ বছরে ভর্তুকি ২০ হাজার কোটি টাকা
এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার জ্বালানি তেলে ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ভর্তুকি বাবদ সরকার বিপিসিকে ৬০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে। সরকার ভর্তুকি বললেও বিপিসি ঋণ হিসেবে তা গ্রহণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.