সুখবর! আর আলাদা করে টাকের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনই পড়বে না। অনেকের মনের দুঃখ ঘুচিয়ে টাকে চুল গজানোর মোক্ষম ওষুধটা এ বার বোধহয় খুঁজে পেয়েই গেলেন গবেষকরা। নতুন ওষুধটা সম্ভবত আসবে ক্রিমের মোড়কে। নিয়ম করে টাকে লাগালেই কেল্লাফতে হওয়ার হাইচান্স। আশা করা হচ্ছে, মরুভূমির বুকে সবুজ ঘাস গজানোর মতোই এ বার টাকেও চড়চড় করে চুল গজাবে।

ক্যানসারের চিকিত্সার সময় বার বার কেমো দেওয়ার ফলে দ্রুত গতিতে চুল পড়তে থাকে। এই সময় এমন কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যে গুলো জানুয়াস কাইনেজ নামের এক উত্সেচক পরিবারের কাজে বাধা দিয়ে আসলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা ইঁদুর এবং মানুষের চুলের ফলিকল নিয়ে বেশ কিছু দিন গবেষণা করার পরে দেখেছেন, যে ওষুধগুলো জেএকে ইনহিবিটর হিসবে কাজ করে, সেগুলি সরাসরি ত্বকে লাগালে চুল গজানো প্রায় নিশ্চিত।

ইতিমধ্যেই, দু’ধরনের জেএকে ইনহিবিটরকে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে মার্কিনি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। একটি চুল পড়া মোকাবিলা করতে ওষুধ হিসাবে ব্যবহারও করা হয়।

বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে চেষ্টা করছেন জেএকে ইনহিবিটরকে ব্যবহার করে এমন একটি ওষুধ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন যেটি সরাসরি টাকে লাগালে নতুন করে চুল গজাবে। এমনকী আটকানো যাবে মেল প্যাটর্ন বল্ডনেসও। তবে এখনও এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

টাকে চুল গজানো যদি সত্যিই সম্ভব হয়, তা হলে কিন্তু চিকিত্সা বিজ্ঞান এক যুগান্তকারী মোড় নেবে। আয়নার দিকে তাকিয়ে লুপ্ত ইন্দ্রপ্রস্থে হাত বোলাতে বোলাতে পুরনো সেই চুলের বাহারের জন্য হা হুতাশ করতে হবে না। তা সেই স্বর্গসুখ পেতে যদি ক’টা দিন অপেক্ষা করতেই হয়, ক্ষতি কী? হবে কি হবে না,  প্রশ্ন গুলো তাকে তুলে দিয়ে আপাতত না হয় পরম শান্তি জাগানো আশাটুকুই থাক। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।