টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলাই কি বিশ্বের সেরা পেশা?

সাহিত্যিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ একবার লিখেছিলেন, সাংবাদিকতাই বিশ্বের সেরা পেশা।
সত্যের সন্ধান, দেশবিদেশে ঘোরাঘুরির সুযোগ আর উত্তেজনাসহ এই পেশার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেছিলেন তিনি।
কিন্তু হালে দেখা যাচ্ছে, চোখধাধানো সব পর্যটন গন্তব্যে যাচ্ছেন, বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে থাকা, প্রাইভেট প্লেনে বিশ্বের ‌এমাথা থেকে ওমাথা ছুটে বেড়ানো, নাইটক্লাব আর গল্ফ খেলে দিন কাটানো—আর কি চাই?
মাঝেমধ্যে ক্রিকেট খেলতে হয় বটে, তাও ছোট পরিসরে টি-টোয়েন্টিতে।
এরচে লোভনীয় পেশা আর কি হতে পারে?
ভেবে দেখুন, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ, পাকিস্তান সুপার লীগ, আইপিএল আর আসন্ন টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ—একের পর এক টুর্নামেন্ট চলছে।
একেকজন খেলোয়াড় আকাশছোঁয়া সব দামে বিক্রি হচ্ছেন।
টাকাপয়সার হিসেব বাদেও একেকজন টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়কে যে পরিমাণ বিমানে ছুটতে হবে, তাতে কি পরিমাণ এয়ার মাইলস জমছে তাদের, ভাবুন তো!
কেভিন পিটারসেনের কথাই ধরুন।
জুলাইতে ক্যারিবিয়াতে, শীতের সময় ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ায়, আর গ্রীষ্মে হয়ত থাকবেন নিজের দেশ ইংল্যান্ডে।
পিটারসেন আইপিএলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বাদশ স্থানে রয়েছেন।
স্পন্সর আর ধারাভাষ্য দেয়ার আয় ছাড়াই প্রতি ম্যাচের জন্য ডলারে ছয় অংকের বেতন পাচ্ছেন।
একই রকম অবস্থা সব টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়েই।
কখনো কখনো আবার তারা একসঙ্গে সময়ও কাটান, পুলের পাড়ে কিংবা নাইট ক্লাবে তাদের দেখা হয়ে যায়।
আর ভাবছেন তারা এত ব্যস্ততায় পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না?
পিটারসেনের জন্য বিষয়টি ভিন্ন, তিনি বরং এখনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.