ট্রাম্পকে মুখোমুখি আলোচনার চ্যালেঞ্জ মুসলিম নারীর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি আলোচনার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন এক মার্কিন মুসলিম নারী। ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ চ্যালেঞ্জ জানান। ড. সুজানা নামের ওই নারী এক বছর আগে বর্ণবিদ্বেষী হামলায় নিহত পদার্থবিদের বোন।
সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের চার্লসটনে শুক্রবার এক নির্বাচনী সভায় বিতর্কিত রাজনীতিক ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম জঙ্গিদেরকে শূকরের রক্তে ডোবানো বুলেট দিয়ে হত্যা ঘটনার প্রশংসা করেন। তার এই জঘন্য বিদ্বেষী বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় সান ফ্রান্সিসকোর ড. সুজানা বারাকাত এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি আমার মুখোমুখি হন, জবাব দিন আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও তার বোন কি গুলিতে নিহত হওয়ার মতো কোনো অপরাধ করেছিলেন?’ এরপর নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. সুজানা বলেন, ‘ট্রাম্প এমনভাবে কথা বলছেন যেন, তিনিই আমেরিকার মুসলমানদের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক। যদি তাই হয় তাহলে তিনি আমার মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের জবাব দিক’। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মুসিলিমবিদ্বেষী বক্তৃতাগুলো দেশে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন ড. সুজানা।
শুক্রবারের বক্তৃতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কল্পিত ঐতিহাসিক ঘটনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, জেনারেল জন পারশিং নামের একজন সাবেক সেনাকর্মকর্তা ৫০ জন মুসলিমকে গ্রেফতার করার পর তাদের মধ্যে ৪৯ জনকে শূকরের রক্ত মাখানো বুলেট দিয়ে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও ইতিহাসে জন পারশিং নামে কোনো সেনাকর্মকর্তা কিংবা এমন কোনো ঘটনার নজির নেই।
এক বছরের কিছু সময় আগে ড. সুজানার ভাই জিয়া শাদি বারাকাত, তার স্ত্রী ইয়াসেরি আবু-সালাহ ও স্ত্রীর বোন রাজান আবু-সালাহ নিজ বাসভবনে এক শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টান বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। নিহত হওয়ার মাত্র দুই মাস আগে বিয়ে করেছিলেন শাদি বারাকাত। নিহত তিনজনই নর্থ ক্যারোলিনার একটি ডেন্টাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থী ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.