ডাকসুতে ১৯ ভিপি প্রার্থীর চেয়েও বেশি ভোট ছাত্রদল নেত্রী কানেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) নির্বাচনে ১৯ ভিপি প্রার্থীর মোট ভোটের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থী কানেতা ইয়া লাম লাম। তবে তিনি কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। এবার তিনি পুনরায় ভোট গণনার দাবি করেছেন। কানেতার দাবি তিনি আরও বেশি ভোট পেয়েছেন কিন্তু গণনার সময় তার ভোট কমিয়ে দেয়া হয়েছে কারণ শেষ সময়ে তার কোন এজেন্ট ছিল না। তাই তিনি পুনরায় ভোট গণনার আহবান জানান।
জানা গেছে, এবার ডাকসুতে ভিপি প্রার্থী ছিলেন ২১ জন। তার মধ্যে ১৯ জন ভিপি প্রার্থী মোট ভোট পেয়েছেন মাত্র ৪,৬১১টি। আর ছাত্রদলের কানেতা ইয়া লাম লাম একাই পেয়েছেন ৭ হাজার ১১৯ ভোট। যেখানে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজ পেয়েছেন মাত্র ২৪৫ ভোট, জিএস অনিক পেয়েছেন মাত্র ৪৬২ ভোট। বামজোটের লিটন নন্দী পেয়েছেন ১২১৬ ভোট আর এজিএস ফয়সাল- ২৪৭ ভোট, স্বতন্ত্র জিএস আসিফুর রহমান রহমান ৪৬২৮ ভোট।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ডাকসুতে কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদের প্রার্থী কানেতা ইয়া লাম লাম শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ডাকসুর নির্বাচনে আমি কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। নির্বাচনে নানা কেন্দ্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ফলাফলে দেখানো হয় আমি ৭ হাজার ১১৯টি ভোট পেয়েছি। শেষমুহুর্তে আমার কোন এজেন্ট না থাকায় আমার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমিয়ে ছাত্রলীগের প্রার্থীর ভোট বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে বলে আমি মনে করছি। এমতবস্থায় উক্ত পদে ভোট পুন:গননার জন্য আমি আবেদন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার আবেদনে সাড়া না দিলে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।
জানা গেছে কানেতার ওই পদে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন শরীয়তপুরের মেয়ে বিএম লিপি আক্তার। তিনি পেয়েছেন ৮৫২৪ ভোট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী কানেতা ইয়া লাম-লাম।
কানেতা ইয়া লাম-লাম জানান, আমার বাবা ডাকসুর সাবেক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তার দেখানো পথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ওই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যারা আমাকে আশা করে ভোট দিয়েছিলেন, আমাকে নিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, দিন রাত আমার জন্য পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে শুকরিয়া জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। ক্ষমতা, অর্থ, পদ সবই ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি হয়ত বাকি জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকলো। সামনে এগিয়ে চলার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।
কানেতা আরও বলেন, ঢাবিয়ান রা বুঝতে পারো আমাদের মনের ব্যাথা? যেদিন তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও বাপ্পির নামের পাশে দেখেছিলাম সামান্য কিছু ভোটের ফিগার ? এই তিস্কররা সেদিনও জাগ্রত ছিল। জাগ্রত ছিলেনা তোমরা। হাস্যরসে মেতেছিলে। আমাকে ১৪০০ ভোটে হারানো হল। মানে হার দেখানো হল। আমার কষ্ট নাই কোন। চোখে পানিও নাই। এটা হবে জানতাম। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্ধকার নেমে এসেছে। ৭১০০+ ভোট টা যারা দিয়েছেন। কষ্ট করেছেন সবাই কে ধন্যবাদ!
উল্লেখ্য, ছাত্রদলের মোস্তাফিজ-অনিক প্যানেলের একমাত্র নারী প্রতিনিধি ছিলেন কানেতা ইয়া লাম-লাম।
Source:http://www.campuslive24.com