ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম বেশি কার্যকর

টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধের চেয়ে নিয়মিত ব্যায়াম বেশি কার্যকর। কেবল ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসার চেয়ে নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম অনেক কার্যকরভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় এমনই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, ইনস্যুলিন সংবেদনশীলতা, ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম কার্যকরভাবে সাহায্য করে। কিন্ত পরিহাসের বিষয় যে, অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগীই নিয়মিত ব্যায়াম করে না। গবেষকরা অনেক রোগীর সফল কেস স্টাডির উল্লেখ করেছেন, যারা নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই জটিল রোগ থেকে উপশম লাভ করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীরা এসব অভ্যাস বজায় রাখলে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়, আবার এই অভ্যাস বন্ধ করলে প্রাপ্ত সুফল আর দেখা যায় না। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। একে সারাজীবনের রোগও বলা হয়ে থাকে। বেঁচে থাকার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কোন বিকল্প নেই। নেতৃস্থানীয় গবেষক ডাক্তার রোমেন মেন্ডেস বলেন, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর পরিমিত খাবার হচ্ছে ডায়াবেটিস চিকিৎসার মূল। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে পরিচালিত এই গবেষণাপত্র ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্ট মেডিসিন-এ প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিও গেমের আসক্তি শিক্ষার্থীদের আত্মঘাতি করতে পারে যেসব শিক্ষার্থী দীর্ঘসময় ধরে অ্যাকশনধর্মী ভিডিও গেম খেলে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশী। টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এই সতর্কবানী উচ্চারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর ভিডিও গেমের সাধারণ প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গবেষকরা লক্ষ্য করেন যে ভিডিও গেমে সময় ব্যয় ও আত্মহত্যার জন্য ‘অর্জিত সামর্থ্যের’ (এসিএস) মধ্যে সাধারণ কোন যোগসূত্র নেই। অবশ্য ক্যাটাগরিভিত্তিক যখন তারা কেবল আসক্তির উপর আলোকপাত করেন তখন তারা লক্ষ্য করেন যে অ্যাকশনধর্মী ভিডিও গেম খেলায় সময় ও এসিএসের মধ্যেকার সম্পর্কটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। অন্য ধারার যে কোন গেমের চেয়ে অ্যাকশনধর্মী ভিডিও গেমে সাধারণত অধিকতর হিং¯্রতা ও আগ্রাসীমূলক বিষয়বস্তু বেশী থাকে। আত্মঘাতি হওয়ার প্রবণতায় এটা একটি কারণ হতে পারে বলে গবেষকরা মনে করেন। সাইবারসাইকোলজি, বিহেভিয়ার এন্ড স্যোসাল নেটওয়ার্কিংয়ে এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে।   বড় পরিবারে শিশুর জ্ঞানের বিকাশ দূর্বল হতে পারে হিউস্টন ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে বৃহৎ পরিবারে বসবাসকারী শিশুরা আচরণগত সমস্যায় বেশি ভূগতে পারে এবং জ্ঞানের বিকাশে পেছনে পড়ে থাকতে পারে। অতিরিক্ত সন্তানসহ বড় পরিবারে সন্তানদের প্রতি তাদের পিতামাতার প্রয়োজনীয় সময় দেয়া, আদর যতœ করা ও উপহার দেয়া সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে যা জ্ঞান যাচাই ও সামাজিক আচরণ পরিমাপে শিশুদের কর্মক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। শিশু সাবালকত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে এ সংক্রান্ত আগেকার সমীক্ষাগুলো চালানো হয়েছিল। এবারের সমীক্ষায় গোটা শৈশবকালকে বিবেচনায় নেয়া হয় ও বেশি বয়সী শিশুদের কর্মক্ষমতা এবং এমনকি টার্গেটকৃত শিশুটির আগে-পরে জন্ম নেয়া শিশুদের কর্মক্ষমতার সঙ্গেও তুলনা করা হয়। মেরুদ-ের ব্যাথা উপশমে ব্যায়াম ও শিক্ষা ভালো কাজ করে ব্যায়ামের কার্যক্রমে যথাযথ উদ্ধরণ কৌশল ও সঠিক অঙ্গবিন্যাসের প্রশিক্ষণ যোগ হলে তা মেরুদ-ের ব্যাথা উপশমে সাহায্য করতে পারে। এক সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে। আগের ২৩টি সমীক্ষার আওতায় ৩১ হাজার মানুষের উপর সংগৃহিত তথ্য-উপাত্ত গবেষকরা বিশ্লেষণ করেন। তারা বলেন, ব্যায়াম স্বল্প মাত্রার মেরুদন্ড ব্যাথা ৩৫ শতাংশ হ্রাস করতে পারে এবং এক বছরে অসুস্থতার সময় ৭৮ শতাংশ কমাতে পারে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যারা এক্সারসাইজ প্রোগ্রামে অংশ নেয় এবং কীভাবে ব্যায়াম করতে হবে এ সম্পর্কিত বাড়তি শিক্ষা ও পরামর্শ গ্রহন করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে ব্যায়ামের সুফল বেশি দেখা যায়। তাদের ক্ষেত্রে স্বল্পমাত্রার মেরুদন্ডের ব্যথা অন্যদের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কম। অম্বলনাশক পিল কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায় নিয়মিত ভিত্তিতে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস (পিপিআইএস)-এর মতো অম্বলনাশক পিল গ্রহন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায় বলে এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে। পিপিআইএস গ্রুপের ওষুধ অতিরিক্ত এসিড তৈরি থেকে পাকস্থলির আস্তরণের উপাদানের কোষগুলোকে থামিয়ে দেয়। গ্যাস্ট্রিক এসিড ও অম্বলের মতো লক্ষণসমূহ হ্রাসে এসব ওষুধ খুবই কার্যকর। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ১০ হাজার ৪৮২ জন অথেরোস্কে¬রোসিস (ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া) রোগীর উপর সমীক্ষা চালান এবং তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেককে ১৪ বছর ধরে পর্যবেক্ষণে রাখেন। তারা ৩২২ জনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ৫৬টি কেস লক্ষ্য করেন যারা পিপিআইএস গ্রহণ করছে। অপরদিকে যারা এই পিল গ্রহণ করেন না তাদের ১০ হাজর ১৬০ জনের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৩৮২ জনের মধ্যে কিডনি রোগ লক্ষ্য করেছেন। গবেষণাপত্রটি জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে। -সূত্র : নিউজ রিপাবলিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.