তামিমের তাণ্ডব অব্যাহত, জয় পেল পেশোয়ার
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ফিফটি। শনিবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচেও ঝলসে উঠল তার ব্যাট। আবারো ফিফটি। আর সেই চমকেই পিএসএলে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল পেশোয়ার জালমি।
দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ক্রিস গেইলের লাহোর কালান্দার্সকে ৯ উইকেটে পরাজিত করেছে পেশোয়ার। অন্যদিকে লাহোর কালান্দার্সের এটি টানা দ্বিতীয় হার। প্রথম ম্যাচে ৫১ রান করেছিলেন তামিম। আর শনিবার খেলেছেন ৫৫ রানের ম্যাচ জয়ী অপরাজিত ইনিংস। ব্রাভো তামিম ইকবাল।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে মাত্র ১১৭ রান সংগ্রহ করে লাহোর কালান্দার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পেশোয়ার জালমির দুই ওপেনার তামিম ও হাফিজই দলকে প্রায় জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। এই জুটি থেকে আসে ৯৫ রান। ৩৭ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন হাফিজ। এর মধ্যে হাঁকান সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা।
জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু তামিম সেরেছেন ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে। ১৬ ওভারে করাচি সংগ্রহ করে ১১৮ রান। ৪৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। দারুণ এই ইনিংসে তামিম ছক্কা হাঁকাননি একটিও। তবে ছিল দৃষ্টিনন্দন সাতটি চারের মার। তামিমের সঙ্গে ১২ বলে ১০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ে মালান। প্রথম ম্যাচে ৫১ রান করেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিততে পারেননি তামিম। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তা আর হয়নি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মারকুটে এই ওপেনারই।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লাহোরের ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রিস গেইল। জুনাইদ খানের সুইং করা বলে উড়ে যায় অফস্ট্যাম্প। শূন্য রানে হতাশ আগের ম্যাচেও সুপার ফ্লপ থাকা গেইল। ইনিংসের তৃতীয় বলেই নেই লাহোরের আরেকটি উইকেট। দুই বলে শুন্য রানে থাকা ডেলপোর্ট এবার শিকার রান আউটের। পরিস্থিতি সামলে উঠার আগেই বিদায় নেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। চার বলে চার রান করে টেইটের শিকার তিনি। দলীয় চার রানে নেই তিন উইকেট, ঠিক যেন কাঁপছে লাহোর শিবির।
এমন পরিস্থিতিতে চতুর্থ উইকেটে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আজহার আলী ও উমর আকমল। এই জুটি থেকে আসে ৪১ রান। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন উমর। তার আগে করে যান ২৬ বলে ২১ রানের মেরামতি ইনিংস। আসগরের বলে উমর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নিজ বড় ভাই পেশোয়ারের কামরান আকমলের হাতে। এরপর ব্রাভোর সঙ্গে তাল মেলেনি আজহার আলিরও। ৪১ বলে ৩১ রান করে উমরের মতোই তালুবন্দী হন কামরান আকমলের।
শেষের দিকে স্কোরটা স্বাস্থ্যবান করতে চেষ্টা করেছেন ব্রাভো ও হাম্মাদ আজম। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। ৩১ এল ৩২ রান করেন ব্রাভো। ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন হাম্মাদ। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে লাহোর কালান্দার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ১১৭ রান। আসগর দুটি, জুনাইদ, টেইট, ওয়াহাব রিয়াজ নেন একটি করে উইকেট।
দিনের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসান কিন্তু সুবিদা করতে পারেননি। ফলে তার দল করাচি কিংসও হেরে গেছে।