তুমি যাকে ভালোবাসো…
‘প্রেমে পড়া বারণ
কারণে অকারণ,
আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ…’
ঠিক এই কয়েকটি লাইনের জ্বরে বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছে কলকাতার বাঙালি। যারা প্রেম করে তারাও যেমন কাঁধে কাঁধ রেখে এই গান শুনছে তেমনই সদ্য প্রেম ভেঙে যাওয়া মেয়েটিও বারবার চোখের পানি মুছলেও গানটি শুনেই যাচ্ছে।
প্রেম ভেঙে গেলে অনেকেই মনে মনেই বলে হয়তো প্রেমের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। পরক্ষণেই বলছে ঝগড়ার হাত থেকে বাঁচা গেল। আসলে প্রেম আর ঝগড়া একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত। ঝগড়া না থাকলে প্রেম বাড়ে না, ঠিক যেন পুরনো চাল ভাতে বাড়ার মতো ব্যপারটা। কিন্তু সর্বদাই ঝগড়া-মারপিট আবার মোটেই কাম্য নয়। এবার মোদ্দা কথা হচ্ছে, প্রেমে পড়ার আগে মনে ভালোবাসার লাড্ডু ঠিক যতটাই ফোটে তেমনই প্রেম করা শুরু করলে তা হতাশায় পরিণত হতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না।
আর তারপরই ভিড় জমে মনোবিদের চেম্বারে। তবে আমাদের দেশে নয়, বিদেশে। কারণ আমাদের প্রেমের ব্যাপারে এতো সহজে হতাশ হওয়ার সুযোগ কম। অন্য আরো অনেক প্রকট সমস্যা নিয়ে যে আমাদের বসবাস।
যা হোক। সবক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি প্রেমের পর ঝগড়া আবশ্যিক। এমন একটা সময় আসে যখন যাবতীয় রাগ, চাপ সব গিয়ে পড়ে আপনার ভালোবাসার মানুষটির কাছেই। কর্মক্ষেত্রে সমস্য়া থেকে শারীরিক কোনো সমস্যা প্রথম কোপ পড়ে তার ওপরেই। যারা এই সমস্যার প্রাথমিক সমাধানের চেষ্টা করেন না তাদের কিন্তু তখন হতাশা দীর্ঘমেয়াদি আকার নেয়।
আসলে এর সমাধান একটাই। মনোবিদের মতে প্রেম এবং কেরিয়ার নিয়ে জীবনে হতাশা আসার একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে। আপনি হয়তো ভাবছেন রাগারাগি খুব খারাপ, এতে অনেক প্রকার সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তারা বলছেন বিশ্বাস করুন সেই মানুষটিকে যার ওপর কারণে অকারণে আপনি রাগারাগি করতে পারবেন। অনেক দুঃখ, বাজে কথা ঝামেলার পর যে আবার আপনাকে আপন করে নেবেন। সেখানেই লুকিয়ে থাকে সত্যি ভালোবাসা। জানবেন ইনিই আপনার প্রকৃত মনের মানুষ। ওই যে কবির ভাষায়…‘হাতের ওপর হাত রাখা খুব সহজ নয়।’