দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধ করে গরম রসগোল্লা
রসগোল্লা খেতে কার না ভালো লাগে? ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকে রসগোল্লা খেতে চান না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গরম রসগোল্লার বহু গুণ রয়েছে। এটি মানব শরীরের জন্য উপকারী। রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। তাই রসগোল্লায় হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকে। হাড় বা দাঁতের ক্ষত ও ক্ষয়রোধ করে। অস্টিওপরেসিস বা গাঁটে ব্যথা সারাতেও উপকারী গরম রসগোল্লা। যন্ত্রণা উপশমে- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড গাঁট ও বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। রসগোল্লায় রয়েছে ভিটামিন কে ও ম্যাগনেশিয়াম, যা হাড়ের ঘনত্ব ধরে রাখে। দেহের প্রয়োজনীয় ক্যালরি মিটিয়ে ইন্সট্যান্ট এনার্জি দেয় রসগোল্লা। সারাদিনের পরিশ্রমের পর বা ওয়ার্কআউটের পর গরম রসগোল্লা খেলে ক্লান্তি দূর হয়, শক্তি উৎপাদন হয়। রসগোল্লায় ল্যাকটোসের পরিমাণ কম থাকায় দাঁত ক্ষতিকারক সুগারের হাত থেকে রক্ষা পায়। রসগোল্লার ভিটামিন ডি ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে। আমাদের অনেকেরই ধারণা মিষ্টি খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু গরম রসগোল্লা হাইপ্রোটিন ডায়েট। মোনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে। রসগোল্লার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকার কারণে হজম ভালো হয়। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। উচ্চমাত্রায় ও উচ্চমানের প্রোটিন থাকার কারণে পেট, ব্রেস্ট, প্রস্টেট বা কোলন ক্যান্সার রুখতে পারে রসগোল্লা। রসগোল্লায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কমে। রসগোল্লা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখে। সর্দি, কাশি, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা সারাতে উপকারী গরম গরম রসগোল্লা। রসগোল্লা পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে শারীরিক ও মানসিক গঠনে সাহায্য করে গরম রসগোল্লা। ওয়েবসাইট।