দুই চাকার গাড়ি!

মোটরসাইকেলের মতই দুটো চাকা। কিন্তু গাড়ির মত ছাদ এবং দরজা-জানালা। ঠিক মোটরসাইকলে কিংবা গাড়ি কোনটার সঙ্গে মেলানো যায় না। এই অদ্ভুত যানটি তৈরি করেছে লিট মোটর্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর ভারসাম্য কখনো নষ্ট হবে না। এমনকি ধাক্কাও দিলেও সে দু’চাকায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকবে। বাইকে যারা চড়েন তারা জানেন টার্নিংয়ের সময়ে কী বিপদে থাকেন আরোহী। স্কিড করার সম্ভাবনা থাকে, ভারসাম্য হারানোরও আশঙ্কা থাকে। তাছাড়াও বাইক চালানোর হাজারো সমস্যা রয়েছে। যখন-তখন বৃষ্টি নামতে পারে, ধাক্কা লাগলে মারাত্মক জখম হতে পারেন আরোহী আবার ডাবল ক্যারি করা মানে তো আর একটি মানুষের প্রাণ হাতে নিয়ে বাইক চালানো। তাছাড়া গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুরে বাইক চালাতে চালাতে চারচাকা-বাহকদের দেখে মাথা একেবারে তেলেবেগুন হয়ে যায়। কখনও মনে হয়নি যে বাইককে যদি মুড়ে দেওয়া যেত আগাগোড়া তবে কী সুবিধেই না হত। এটি বহু লোকের মাথাতেই এসেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন বাইকটি বানিয়ে ফেলেছে লিট মোটরস। এই মার্কিন কোম্পানির ওয়েবসাইটে রয়েছে ডিটেল স্কেচ, কীভাবে একটি দু’চাকা পালটে গিয়েছে এমন অভিনব চেহারার বাইকে। লিট মোটরসের এই বাইকের নাম সি-১ এবং এটি সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎচালিত। স্বয়ংক্রিয় ভারসাম্য-সম্পন্ন এই বাইকে ধাক্কা মারলেও তা মাটিতে পড়ে না। টাল খেয়ে সামলে নেয় নিজেকে। এখানে চালক ছাড়াও ভিতরে বসতে পারেন আর একজন, অন্যান্য বাইকের মতোই। কোনও রকম স্ট্যান্ড ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকতে পারে বাইক বন্ধ অবস্থায়। তাছাড়াও এই বাইকে রয়েছে একটি অটোমেটেড স্ট্যান্ড। পার্ক করার সময়ে সেটি বার করেও পার্ক করা যায়। এই সি-১ বাইকটির মাইলেজ একবার ফুলচার্জে ২০০ মাইল। স্টার্ট দেওয়ার পরে মাত্র ৬ সেকেন্ডেই ৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটতে পারে এই বাইক। ভোল্টেজের উপরে নির্ভর করবে কতক্ষণ চার্জ দিতে হবে। আধঘণ্টাতেও ৮০ শতাংশ চার্জ হতে পারে আবার ৬ ঘণ্টাও লাগতে পারে। কেমন চলে এই বাইক? বাইকের খোলস ছাড়ালে ভিতরটা কেমন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.