ধৈর্যে দীর্ঘ তরুণীদের তারুণ্য

তরুণীরা কী চান? তাঁদের আরাধ্য জিনিসের মধ্যে তারুণ্য তো আছেই, আরও আছে দীর্ঘায়ু। ধৈর্যহীন হয়ে পড়লে শরীরের কোষীয় স্তরে এর প্রভাব পড়ে। অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের গবেষকেরা তাঁদের গবেষণা থেকে এ তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি এই গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
দীর্ঘ জীবন আর তারুণ্য ধরে রাখতে যেসব তরুণী মরিয়া হয়ে ছুটছেন, তাঁদের জন্য গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে—অস্থিরতা কমিয়ে কিছুটা ধৈর্যশীল হোন। ধৈর্য মানুষের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা নিয়ন্ত্রিত এক গবেষণায় দেখেছেন, ধৈর্যহীন কম বয়সী চীনা নারীদের ক্ষেত্রে কোষীয় স্তরে দ্রুত বয়স বেড়ে যায়।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ধৈর্যহীনতার সঙ্গে বয়সের সম্পর্কের বিষয়টি খুঁজে পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। গবেষকেরা ১ হাজার ১৫৮ জন স্বাস্থ্যবান চীনা শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ গবেষণা চালান। এ গবেষণার কাজে ‘ডিলে ডিসকাউন্টিং’ নামের একটি আচরণগত খেলার আয়োজন করেন গবেষকেরা। গবেষণায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পরের দিন ১০০ ডলার ও পরে ভালো পুরস্কার বেছে নিতে বলা হয়। যাঁরা স্বল্পমেয়াদি পুরস্কার বেছে নেন, তাঁদের অধৈর্যশীল বলে ধরা হয়।
গবেষকেরা বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে যাঁরা অধৈর্যশীল বেশি, তাঁদের টেলোমেয়ার (ক্রোমোজোমের প্রান্তে থাকা বিশেষ কাঠামো) স্বল্পদৈর্ঘ্যের হয়। এই টেলোমেয়ারের দৈর্ঘ্য রোগ বা দীর্ঘায়ুর বিষয়টি নির্ধারণ করে।

তাঁদের দাবি করেন, বয়স্ক মানুষের টেলোমেয়ার স্বল্পদৈর্ঘ্যের হয়।
এ গবেষণা প্রসঙ্গে গবেষক রিচার্ড এবস্টেইন দাবি করেন, ‘ধৈর্য মূলত একটি গুণ। যাঁরা ধৈর্যশীল হন, তাঁদের তুলনায় অসহিষ্ণুরা দ্রুত বুড়িয়ে যান।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.