নায়করাজ রাজ্জাক

আজ নায়করাজ রাজ্জাকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান বাংলা ছবির এই কিংবদন্তি অভিনেতা।

দিনটিতে তাকে স্মরণ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আজ শুক্রবার। তাই ছুটির দিনে কোনো আয়োজন রাখতে পারছি না।

আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারে আমরা কোরআন খতম ও মিলাদ পড়াব। তবে আজকে আমরা তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাব এবং কবর জিয়ারত করব।’ এদিকে পারিবারিকভাবেও দিনটিতে মহান এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নায়করাজের ছোট ছেলে চিত্রনায়ক খালিদ হোসেন সম্রাট।

তিনি বলেন, ‘আব্বা নেই এটা আমরা কখনও বলি না। তিনি আমাদের মাঝে সবসময় বিরাজমান। তার দেখানো পথেই আমরা চলছি।

প্রতিবছরের মতো আমরা পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কিছু আয়োজন করি। ধর্মীয় কিছু বিষয়াদি আছে, যেগুলো আমরা পারিবারিকভাবেই পালন করি।’ এ ছাড়া চ্যানেল আই নায়করাজের স্মরণে বিশেষ আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।

আমরা সেই কিংবদন্তি অভিনেতার কথাই বলছি যিনি আমাদের দেশের চলচ্চিত্রকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়, পেয়েছেন নায়করাজ উপাধি। তাঁর এই জন্মদিনে আমাদের পক্ষ থেকে রইলো ফুলেল শুভেচ্ছা। আসুন জেনে নেই নায়করাজ রাজ্জাকের জীবনের কিছু কিছু অংশ।

নায়করাজ বলতে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে একজনকেই বোঝানো হয়। তিনি রাজ্জাক (Razzak), যিনি একাধারে একজন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে ভূমিকা পালন করছেন। কিশোর বয়সে কলকাতায় মঞ্চ নাটকে জড়িয়ে পড়েন রাজ্জাক। পরবর্তীতে ১৯৬৪ আলে দাঙ্গার সময় ঢাকা চলে আসেন পরিবারের সাথে। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সহযোগিতায় ইকবাল ফিল্মসে কাজ করার সুযোগ পান। পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে ‘উজালা’ ছবিতে কাজ শুরু করেন। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নাম্বার ফেকু অস্তাগড় লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে ’কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরী স্টেশন’সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে তিনি। পরে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে সুচন্দার বিপরীতে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন এবং সবার মন জয় করে নেন। দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি নায়করাজ হিসেবে পরিচিতি পান। নায়করাজ প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। মোট চারবার তিনি জাতীয় সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। রাজ্জাক প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নায়করাজ শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও সফল। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। সর্বশেষ তিনি ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রের বাইরে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম রাজলক্ষী প্রোডাকশন। রাজ্জাক বাবা আকবর হোসেন ও মা মিরারুন্নেসার কনিষ্ঠ সন্তান। রাজ্জাকের দুই পুত্র বাপ্পারাজ এবং সম্রাটও চলচ্চিত্র অভিনেতা।

Razzak002

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আব্দুর রাজ্জাক
জন্ম ২৩ জানুয়ারি ১৯৪২ (বয়স ৭৩)
টালিগঞ্জ ,[১] কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (এখন ভারত)
বাসস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ
পেশা অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক
কার্যকাল ১৯৬৪–বর্তমান
সন্তান বাপ্পারাজ (রেজাউল করিম)
বাপ্পি
সম্রাট (সাজিদ হোসাইন

আব্দুর রাজ্জাক (জন্ম ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪২), যিনি নায়করাজ রাজ্জাক নামে সুপরিচিত, একজন বিখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা। ষাটের দশকের মাঝের দিকে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ষাটের দশকের বাকি বছরগুলোতে এবং সত্তরের দশকেও তাঁকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত।

শৈশবকাল
রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।[৩]

ঢালিউড
তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে “ঘরোয়া” নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু অস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে।[৩] তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

সম্মাননা
১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা।[৩] এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।[৪]

জন্মদিন পালন
প্রতি বছরই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে রাজ্জাক গুলশানের নিজ বাসভবন ‘লক্ষ্মীকুঞ্জে’ ঘরোয়াভাবে জন্মদিন পালন করে থাকেন।

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ
বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা পরিচালক সহশিল্পী নোট
১৯৬৬ আখেরি স্টেশন সুরুর বারা বাঙ্কভি
১৯৬৬ ১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন বশীর হোসেন
১৯৬৬ কাগজের নৌকা সুভাষ দত্ত
১৯৬৬ বেহুলা জহির রায়হান
১৯৬৭ আগুন নিয়ে খেলা আমজাদ হোসেন / নূরুল হক
১৯৬৭ আনোয়ারা জহির রায়হান
১৯৬৭ দুই ভাই রহিম নেওয়াজ / নূরুল হক
১৯৬৮ নিশি হলো ভোর নূর আলম জিকো
১৯৬৮ আবির্ভাব সুভাষ দত্ত
১৯৬৮ এতটুকু আশা নারায়ণ ঘোষ মিতা
১৯৬৮ সুয়োরাণী দুয়োরাণী জহির রায়হান
১৯৬৯ মনের মতো বউ রহিম নেওয়াজ
১৯৬৯ ময়নামতি কাজী জহির
১৯৬৯ আগন্তুক বাবুল চৌধুরী
১৯৬৯ নীল আকাশের নীচে নারায়ণ ঘোষ মিতা
১৯৭০ যে আগুনে পুড়ি আমির হোসেন
১৯৭০ ক,খ,গ.ঘ.ঙ নারায়ণ ঘোষ মিতা
১৯৭০ আঁকা বাকা বাবুল চৌধুরী
জীবন থেকে নেয়া ফারুক জহির রায়হান আনোয়ার হোসেন, খান আতা, শওকত আকবর, সুচন্দা, রোজী সামাদ
১৯৭০ পীচ ঢালা পথ এহতেশাম
১৯৭০ যোগ বিয়োগ নূরুল হক বাচ্চু
১৯৭০ দর্পচুর্ণ নজরুল ইসলাম
১৯৭০ মধুমিলন কাজী জহির
১৯৭০ ঢেউয়ের পর ঢেউ মোহসিন
১৯৭০ টাকা আনা পাই বাবুল চৌধুরী
১৯৭০ কাঁচ কাটা হীরা আব্দুল জব্বার খান
১৯৭০ দ্বীপ নেভে নাই নারায়ণ ঘোষ মিতা
১৯৭০ স্বরলিপি নজরুল ইসলাম
১৯৭০ নাচের পুতুল অশোক ঘোষ
১৯৭০ স্মৃতিটুকু থাক আলমগীর কুমকুম
১৯৭২ অশ্রু দিয়ে লেখা কামাল আহমেদ
১৯৭২ এরাও মানুষ নারায়ণ ঘোষ মিতা
১৯৭২ ওরা ১১ জন চাষী নজরুল ইসলাম
১৯৭২ ছন্দ হারিয়ে গেল এস এম শফি
১৯৭২ অবুঝ মন কাজী জহির
১৯৭৩ রংবাজ জহিরুল হক
১৯৭৩ ঝড়ের পাখি সি বি জামান
১৯৭৪ আলোর মিছিল নারায়ণ ঘোষ মিতা
১৯৭৪ ভুল যখন ভাঙল রফিকুল বারী চৌধুরী
১৯৭৪ বেঈমান রুহুল আমিন
১৯৭৪ পরিচয় আজিজুর রহমান
১৯৭৪ অবাক পৃথিবী মোস্তফা মেহমুদ
১৯৭৪ বাদী থেকে বেগম আলী নওশের মহসিন ববিতা
১৯৭৫ সাধু শয়তান মোহাম্মদ সাঈদ
১৯৭৫ আলো তুমি আলেয়া দিলীপ সোম
১৯৭৫ অনেক প্রেম অনেক জ্বালা নাজমুল হুদা মিন্টু
১৯৭৫ মায়ার বাঁধন মুস্তাফিজ
১৯৭৬ গুণ্ডা আলমগীর কুমকুম
১৯৭৬ আগুন মহসিন
১৯৭৭ অমর প্রেম আজিজুর রহমান
১৯৭৭ অনন্ত প্রেম রাজ্জাক
১৯৭৮ সোহাগ সাইফুল আজম কাশেম
১৯৭৮ অগ্নিশিখা আজিজুর রহমান
১৯৭৮ অশিক্ষিত আজিজুর রহমান
১৯৮০ জোকার আজহারুল ইসলাম খান
১৯৮০ ছুটির ঘন্টা আজিজুর রহমান
১৯৮০ আনারকলি দিলীপ বিশ্বাস
১৯৮২ দুই পয়সার আলতা কাজল আমজাদ হোসেন শাবানা, নূতন
১৯৮২ রাজা সাহেব খসরু নোমান
১৯৮৩ লালু ভুলু কামাল আহমেদ
১৯৮৪ চন্দ্রনাথ চন্দ্রনাথ চাষী নজরুল ইসলাম দোয়েল
১৯৮৭ রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত বুলবুল আহমেদ
১৯৮৮ জামানা জাকারিয়া হাবিব
১৯৮৯ রাম রহিম জন সত্য সাহা
১৯৯২ অন্ধ বিশ্বাস মতিন রহমান
১৯৯৪ সতীনের সংসার জহিরুল হক
১৯৯৭ জজসাহেব সামসুদ্দীন টগর
১৯৯৭ বাবা কেন চাকর রাজ্জাক
১৯৯৮ পৃথিবী তোমার আমার বাদল খন্দকার
২০০০ বাবা কেন আসামী মমতাজুর রহমান আকবর ২০০০
২০০১ কঠিন বাস্তব মনতাজুর রহমান আকবর
২০০১ মরণ নিয়ে খেলা রাজ্জাক
২০০২ সমাজকে বদলে দাও কাজী হায়াৎ
২০০২ কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি মৌসুমী
২০০৪ বাপ বেটার লড়াই এফ আই মানিক
২০০৬ পিতার আসন এফ আই মানিক
২০০৮ এক টাকার বউ পি এ কাজল
২০০৮ পিতামাতার আমানত এফ আই মানিক
২০০৮ আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা এস এ হক অলিক
২০০৮ জমিদারবাড়ির মেয়ে আজিজুর রহমান
২০০৯ মিয়াবাড়ির চাকর শাহাদাত হোসেন লিটন
২০০৯ ভালোবাসার শেষ নেই রেজা লতিফ
২০১০ বাপ বড় না শ্বশুর বড় শাহাদাত হোসেন লিটন
২০১১ হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ গাজী মাজহারম্নল আনোয়ার

 অভিনেত্রী
চোর শবনম
নাচের পুতুল শবনম
বড় ভাল লোক ছিল অনজূ
বেঈমান কবরী
মনের মতো মন কবরী
লাইলি মজনু ববিতা
সঙ্গীতা কবরী
পুরস্কার
জাতীয় চলচ্চিত্র আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০১৩)[৫]
মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা (২০১৪)
তথ্যসূত্র
↑ ঝাঁপ দাও: ১.০ ১.১ Shah Alam Shazu (২৩ জানুয়ারি ২০১৪)। “The Nayak Raj on screen and beyond”। The Daily Star।
ঝাঁপ দাও ↑ “রাজ্জাক হাসপাতালে”। Prothom Alo। ৫ ডিসেম্বর ২০১২। সংগৃহীত ৫ ডিসেম্বর ২০১২।
↑ ঝাঁপ দাও: ৩.০ ৩.১ ৩.২ ৩.৩ দৈনিক ইত্তেফাক, বিনোদন প্রতিদিন, মুদ্রিত সংস্করণ, ২৩ জানুয়ারি, ২০১২ইং, পৃষ্ঠা-১৩
ঝাঁপ দাও ↑ UNFPA Goodwill Ambassadors: Abdur Razzak, from UNFPA website
ঝাঁপ দাও ↑ “অভিনন্দন ‘নায়করাজ’”। দৈনিক প্রথম আলো। সংগৃহীত ১৪-০৩-২০১৩।

Source: Internet

Razzak003

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.