নীলছবি কী করে আপনাকে শেষ করে দিচ্ছে!
পর্নোগ্রাফি শব্দটা শুনেই সাধারণত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সবাই। যদিও নিয়মিত না হলেও কালেভদ্রে পর্ন দেখেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। আসলে পর্নোগ্রাফি ব্যাপারটা এতটাই ছড়িয়ে গিয়েছে যে, কেউ যদি বলে সে পর্নের সংস্পর্শে আসেনি তা বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মোড়ের মোবাইলের দোকান, রাস্তার ওপর সিডির দোকান, বন্ধুদের মোবাইল ফোন থেকে ব্লুটুথ কিংবা ওয়েবে তো আজ চাইবার আগেই পর্ন পাওয়া যায়।
জেনে নিন পর্ন যেভাবে একজনকে কী করে শেষ করে দিচ্ছে,
পর্ন দেখতে সাধারণত সবারই ভালো লাগে, কারণ মস্তিষ্ক। পর্ন দেখলে মস্তিষ্কে এক ধরণের আসক্তি তৈরি হয়৷ যার কারণ, শরীরে নিঃসৃত হয় কিছু হরমোন। এভাবে বছরের পর বছর দেখতে দেখতে মস্তিষ্কের প্রয়োজন হয় আরও আরও হার্ডকোর পর্ন। তৃপ্তির লিমিট আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে ধনাত্মক অসীমের দিকে। এতে মস্তিষ্ক ভিডিওচিত্রের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
রিয়েল লাইফে তথা বাস্তব জগতে কোন মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ তেমন থাকবে না। বিয়ে করার পর আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মত মস্তিষ্ক স্বাভাবিক সহবাসে নাড়া দেবে না। কারণ, মস্তিষ্কের কোড চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে চোখ থেকে অনুভূতি নিতে, শরীর থেকে নয়।
এতে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে থাকবে। সকালে ভাত খেয়েছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারবেন না। মনযোগ দেওয়ার ক্ষমতাও হবে ক্ষতিগ্রস্থ। পড়াশোনাসহ স্বাভাবিক পারিবারিক ও সামাজিক জীবনযাপনে যা সুদুরপ্রসারী খারাপ প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট৷ পুরুষ হলে ED রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
পর্ন আসক্তি একসময় এমন পর্যায়ে পৌছায়, যে পরিবার, ভাইবোন, বাবা-মা বন্ধু সবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে জেনা হেইজদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওচিত্র। সমাজ, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকবেন। এ আসক্তি হেরোইন, মরফিন ইত্যাদির থেকে কোন অংশে কম নয়।