পথে শুধু ভয় যদি করোনা হয়, তবুও খোলে কারখানা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বড় করেই শুরু হয়েছে। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক স্বপন আগেই জানিয়েছেন, দেশে করোনার সামাজিক সংক্রমণ চলছে। মৃতের সংখ্যা ১৫২ ছাড়িয়ে আরও বাড়ছে, সংক্রামিত রোগীর ৫৯০০ পেরিয়ে উর্ধমুখী।

করোনার হটস্পট বলে চিহ্নিত রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জেই সর্বাধিক রোগী ৫০ শতাংশের বেশি রোগী চিহ্নিত। পুরোপুরি অবরুদ্ধ এই এলাকা। তবে এই অবস্থায় শ্রমিকরী জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পোশাক কারখানায় যাচ্ছেন।

পথে শুধু ভয়, যদি করোনা হয়, তবুও খোলে কারখানা। এটাই বাস্তব। রমজান চলছে। আসছে ঈদ। সেই সঙ্গে করোনার ধাক্কায় বেরোজগারি। সবমিলে তথৈবচ অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জে রবিবার থেকে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি (গার্মেন্ট কারখানা) সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি মহ. হাতেম এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশ মেনে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জে সীমিত আকারে কারখানার কাজ শুরু হচ্ছে। জেলার বাইরের শ্রমিকদের এখনই কাজে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ থাকছে।

কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে মালিকদের মুনাফার বলি হবেন সাধারণ শ্রমিক কর্মীরা। এমনই মনে করছেন শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা।

আর মালিকপক্ষ বলছেন, নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আবার কর্মহীন শ্রমিকদের অবস্থা আরও করুণ। এর সঙ্গে রয়েছে নিটওয়্যার পণ্যের প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলারের অর্ডার। সেটা বাতিল হলে আরও লোকসান। ফলে ঝুঁকি নিয়েই খুলতে হচ্ছে কারখানা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হতেই বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ হটস্পট পরিণত হয়। বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। অভিযোগ, সরকার লকডাউনের পথ নেওয়ার পরেও কারখানা খোলা রাখা হয়েছিল। তখন প্রাণ হাতে করে সবাই কর্মক্ষেত্রে এসেছিলেন। তারপরেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে থাকে। দ্রুত নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা শহরক অবরুদ্ধ করা হয়। সূত্র:কলকাতা ২৪