পরীমনির অদ্ভুত ভক্ত
উপহার পেলে মানুষ খুশি হয়, আর চিত্রনায়িকা পরীমনি পড়েছেন বিপাকে। কারণ, উপহার তিনি পেয়েছেন ঠিকই, তবে কে এ অচেনা ভক্ত এতো ভোরে এসে উপহার দিয়ে গেল, তাকে দেখতেও পেলেন না তিনি। বিব্রত তো হওয়ারই কথা।
পরীমনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার সময় রিসিপশন থেকে ইন্টারকমে কল এলো। এই সময়ে ইন্টারকমে খুব-একটা কল আসে না। ফোন রিসিভ করার পর জানানো হয়, আপনার জন্য কবুতর আর ফুল দিয়ে গেছে। এগুলো উপরে পাঠিয়ে দিব কি?
পরীমনি বলেন, আমি খুব অবাক হয়ে যাই। তারপর রিসেপশনিস্টকে একে একে চারবার জিজ্ঞেস করলাম, কে দিলো, কখন দিল্ কেন দিলো? জবাবে সে বলল, আপা সে ভদ্রলোক গেটেই আছেন। আমি আর ফোনে কিছু না বলে দৌঁড়ে বারান্দায় যাই। উঁকি দিয়ে বললাম, কই কে আসছে? দাঁড়াতে বলো আর গেটে তালা দিয়ে দাও। আমি আসছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য কেয়ারটেকারকে পাঠাই। তার কাছে লোকটি নিজেকে আমার ভক্ত বলে পরিচয় দেয়। তারপর লোকটি চলে যেতে চায়। আর কেয়ারটেকারও কি বুঝে যে লোকটিকে বিদায় করে দেয়!
পরীমনি বলেন, লোকটির নাম-পরিচয় কিছু না জেনে কেন তাকে যেতে দিলে, এ নিয়ে কেয়ারটেকারকে বকাবকি করি! পরে কেয়ারটেকার বলে, আপনার মেজাজ খারাপ দেখলাম। লোকটি থাকলে যদি মাইর দেন এই জন্য যেতে দিছি। আর লোকটি ভদ্রলোকই মনে হলো। আর তার বয়সও একদম কম।
পরীমনি আরো বলেন, কি আর করা, তারপর বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলাম। ভিডিওতে দেখলাম, চিকন-চাকন একটি লোক গাড়ির ড্রাইভিং সিট থেকে নামল। পাশের সিট থেকে আরো একটি পিচ্চি ছেলে নামল। দুইজন মিলে ব্যাকডালা থেকে একটি খাঁচা নামাল, তারপর ড্রাইভিং সিটের পাশে রাখা একটা দোলনচাঁপা ফুলের তোড়া নামাল। একটি প্যাকেটে পাখির খাবারও ছিল। এসবই লিফটের সামনে গুছিয়ে রাখল। তারপর চুল ঠিক করল। এরপর পার্কিংয়ে রাখা আমার গাড়ির সামনে দাঁড়াল আর ছোট ছেলেটি ছবি তুলে দিল।
তিনি বলেন, একটা জিনিস বুঝি না সে আমার কেমন ভক্ত যে, আমি নিচে নামব জেনেও সে চলে গেল এবং তার নামও বলল না ! আমার ভক্তরা আমার সঙ্গে এমন করে না বা করতে পারে না। এমন অদ্ভুত ভক্তের উপহার গ্রহণ করা আমার কাছে আসলেই আনন্দের না। তাই সেই ভক্তের কাছে অনুরোধ করব তার পরিচয় দেয়ার জন্য। আর না হলে সে আামার ভক্ত এটা মানব না বরং তার গাড়ির নম্বরটা থানায় দিতে বাধ্য হব। আমি চাই না অপ্রত্যাশিত কিছু হোক।