পর্নো ছবির রাজধানী হয়ে উঠছে স্পেন

বিশ্বে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্মিত ছবি বা পর্নো ছবির রাজধানী হয়ে উঠছে স্পেন। সেখানকার সমুদ্র সৈকতে অন্য পর্যটকদের চোখের সামনে, মাত্র কয়েক গজ দূরেই এমন সব ছবির শুটিং করা হয় উন্মুক্ত পরিবেশে। পাশে দাঁড়িয়ে তা অবলোকন করেন পর্যটকরা। এতে অভিনেতা, অভিনেত্রী বা পরিচালকদের কিছু এসে যায় না। তারা উদ্দাম আদিম নেশায় মেতে থাকেন। পর্নো প্রযোজক থিয়েরি কেমাচো এ শিল্পে সুপরিচিত নাম। অন্যরা সমুদ্র সৈকতে এমন দৃশ্য দেখলেও তাতে তার কিছু এসে যায় না। তিনি আউটডোরে এমন ছবি করা নিয়ে বলেছেন, স্পেনে এসব ছবি বা দৃশ্য দেখে মানুষ।

যখন শুটিং শেষ হয় তখন তারা প্রশংসা করেন। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।

বৃটেনে অবশ্য ‘লাভ আইল্যান্ড’ নামে একটি টিভি শো পরিচালিত হয়, যেখানে যৌনতাই প্রাধান্য পায়। অবাধে সেখানে মেলামেশার সুযোগ দেয়া হয় নারী-পুরুষদের। আর তা নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সচিত্র প্রতিবেদন। এ ছাড়া তো অনলাইনে আছেই পর্নো ছবি। তবে বিবিসি ৩-এর জন্য ‘পর্ন লেইড বেয়ার’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারি বানাতে স্পেনে সফর করেছেন বৃটেনের ৬ তরুণের একটি দল। তারা চেয়েছেন স্পেনের সেক্স ইন্ডাস্ট্রি কিভাবে বিকশিত হচ্ছে তা তুলে ধরতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে তারা শুনতে পেয়েছেন মানব পাচার, জোরপূর্বক মাদক সেবন ও সহিংসতার কাহিনী। তারা প্রত্যক্ষ করেছেন একজন রাশিয়ান যুবতীকে। তিনি শুটিংয়ের সেটে ২০ জন পুরুষের সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হতে অপেক্ষায় ছিলেন।

বৃটিশ এই তরুণ দলে ছিলেন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক নীলম টেলর (২৪), রায়ান স্কারবরো (২৮), শিক্ষার্থী আনা এডামস (২৩) এবং গ্রুপের সবচেয়ে কম বয়সী ক্যামেরন ডালি (২১)। তারা যখন স্পেনের একটি সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে যান সেখানে তাদের থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে দেখতে পান পর্নো ছবির শুটিং হচ্ছে। অভিনেত্রী, অভিনেতাকে পাঠ বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরপর তারা কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মেতে উঠছেন পর্নো ছবির শুটিংয়ে। এ বিষয়ে নীলম বলেছেন, এর আগে আমরা কেউই পর্নো ছবির শুটিংয়ে যাই নি। কিন্তু যে দৃশ্য দেখেছি তাতে আমরা অতলে হারিয়ে গিয়েছি। আমাদেরকে দেখতে হয়েছে ওই পর্নো ছবির নায়ক, নায়িকাদের। তারা সমুদ্র সৈকতে মেতে উঠছেন অবাধ যৌনাচারে। আর আমাদেরকে তা দেখতে হয়েছে। এটা আমাদের কাছে বড় এক হতাশার বিষয় ছিল।

পর্নো ছবির এক পরিচালক রব ডিজেল বলেছেন, তিনি নিজের দেশ সুইডেন থেকে স্পেনে গিয়েছেন। কারণ, সেখানকার নিয়মনীতি উদার। তিনি পর্নো ছবির যে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন গত বছর তা ভিজিট করেছেন ৭৬০ কোটি দর্শক। এতে তার আয় হয়েছে ৬৯ লাখ পাউন্ড। তার মতে, স্পেন হলো বহু শত কোটি পাউন্ডের পর্নো ছবির ইন্ডাস্ট্রি। এখানে পর্নো তারকাকে দেখা হয় শিল্পী হিসেবে। এটাকে এখানে পেশা বা কর্মসংস্থান হিসেবে দেখা হয়।

One thought on “পর্নো ছবির রাজধানী হয়ে উঠছে স্পেন

  • মার্চ ১০, ২০২২ at ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
    Permalink

    জীবনে কিছু হলনা না আছে টাকা পয়সা না আছে ধন সম্পদ জীবনে অনেক কর্ম করেছি কিন্তু কোনো ফল পাইনি তাই ভাবলাম এই জগতে গেলে আমার কোন টাকা পয়সার অভাব থাকবেনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.