পুরুষহীন দ্বীপ সুপারশি আইল্যান্ড

সুপারশিআইল্যান্ড। যার মালিক কিনা পুরোদস্তুরে একজন মহিলা। ক্লান্তি কিংবা অবসাদ আপনাকে জড়িয়ে ধরেছে? নো টেনশন ঘুরে আসতে পারেন এ দ্বীপে। তবে সাবধান অবশ্যই কোনো পুরুষকে সঙ্গে নিবেন না। মহিলারা একাই যাবেন। কারণ এখানে ভ্রমণের প্রথম শর্তই হলো কোনও পুরুষ যাওয়া যাবে না। যার কারণে একে ‘নো ম্যান’স ল্যান্ড’ বলা হয়ে থাকে। আর এই ‘নো ম্যান’স ল্যান্ডটি ফিনল্যান্ডে অবস্থিত।
ক্রিস্টিনা রথ নামে এক মহিলা এই দ্বীপের মালিক। শুধুমাত্র মহিলাদের ছুটি কাটানোর জন্যই তিনি এই দ্বীপটিকে সাজিয়ে তুলেছেন। ক্রিস্টিনা একজন বিজনেস কনসালট্যান্ট। ফোর্বসের দ্রুত উন্নতি করা মহিলা চালিত সংস্থাগুলির তালিকায় রয়েছে তার কোম্পানিও।
এই আইল্যান্ডে সব পাবেন, কিন্তু কোনও পুরুষ পাবেন না। অবাক হচ্ছেন? এই দ্বীপে গেলে আরও অবাক হতে পারেন। কেবলমাত্র মহিলারাই এই দ্বীপে যেতে পারেন।

কেন হঠাৎ এমন একটা পরিকল্পনা? রথ জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার কালাবাসাসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি লক্ষ্য করেন, হ্যান্ডসম পুরুষদের উপস্থিতি মহিলাদের নিজেদের নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক করে তুলছিল। প্রকৃতির সৌন্দর্যে সেখানে মাতোয়ারা হওয়ার কথা। অথচ তা না হয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে মহিলারা নিজেদেরই অত্যধিক সাজিয়ে রাখছিলেন।
নিজের মতো থাকো, নিজের মতো বাঁচো, নিজের উপর ফোকাস করো, তখন ঠিক এটাই মাথায় আসে ক্রিস্টিনার। পুরুষদের উপস্থিতি যাতে এর অন্তরায় না হয়, তার জন্য নিজের এই দ্বীপ থেকে পুরুষদেরই বাদ দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এখানে আসতে ইচ্ছুক পর্যটকদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। স্কাইপে আবেদনকারীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন ক্রিস্টিনা। বলতে পারেন ইচ্ছুক মহিলা পর্যটকদের একটা ছোটখাটো ইন্টারভিউ নেবেন মালিক নিজেই। তার পরই সিদ্ধান্ত নেবেন ওই ইচ্ছুক মহিলার আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না। পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।
রকৃতির মধ্যে মহিলাদের ছুটি কাটানোর সমস্ত আয়োজন তিনি করেছেন এখানে। পাশাপাশি মহিলারা এখানে রান্নাও শিখে নিতে পারেন। রয়েছে আরও অনেক কিছু।

সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এই দ্বীপে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.