পুরুষের চেয়ে নারীরা অফিসে বেশি সময় দেয়: সমীক্ষা

সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে নারীদের। পুরুষের সঙ্গে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন নারীরা। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেড়েছে নারীর অংশগ্রহণ। নারীরা এখন পুরুষদের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়।

সম্প্রতি গবেষকদের করা একটি সমীক্ষায় এমনি তথ্য পাওয়া গেছে। সমীক্ষায় নারী সম্পর্কে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সমীক্ষা জানাচ্ছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক কর্মঠ পুরুষের চেয়ে একজন নারীর কর্মক্ষমতা ও সহ্য-ধৈর্য অনেক বেশি।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত দশকে শ্রমিকরা সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তাদের কর্মক্ষেত্রে ৪০ মিনিট বেশি সময় ব্যয় করত। তবে বর্তমান সময়ে কর্মরত নারীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতাটি আরও বেশি বেড়েছে।

ওই সমীক্ষার রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, নারীরা তাদের কর্মস্থলে বা অফিসে কাজের চাপে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত কর্মরত নারীরা তাদের অফিসে, কাজের সময়সীমার থেকে মোট ৬৫ মিনিট বেশি সময় ব্যয় করেছেন। শুধু তাই নয়, তরুণরাও অফিসে বেশি সময় ব্যয় করছেন।

এ ছাড়া ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী চাকরিজীবীরা প্রতি সপ্তাহে অফিসে গড়ে এক ঘণ্টা করে বেশি কাজ করছেন। ‘রেজ্যুলুশন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থা কর্মরত নারীদের ওপর এ সমীক্ষা চালিয়েছিল।

তাদের মতে, গত ১২ বছর আগে চরম আর্থিক সংকটের পর থেকে আসল মজুরি স্থির হয়। ফলে নারীদের বিভিন্ন পেশার প্রতি যেমন ঝোঁক বেড়েছে। তেমনই কর্মক্ষেত্রে প্রায় ৬৫ মিনিট অতিরিক্ত কাজ করছেন নারীরা।

নারীরা এখন প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২৭.৫ ঘণ্টা কাজ করেন, যা ২০০৯ সালের তুলনায় এক ঘণ্টা ৫ মিনিট বেশি। এবং তারা ২০-এর মধ্যভাগে শীর্ষে রয়েছে। বিপরীতে পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক কাজের ঘণ্টা যা প্রতিটি বয়সে দীর্ঘ হয়। তাদের ৩০-এর মাঝামাঝি সময়ে সপ্তাহে গড়ে ৩৯ ঘণ্টা কাজ করছেন।

তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারীর কর্মসংস্থান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং গৃহকর্মীদের বেতনভিত্তিক কাজ সমানভাবে ভাগ করে নেয়ার কারণে নারীদের কর্মসংস্থান পুরুষদের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া সাত পুরুষের মধ্যে একজন প্রতি সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা বা তারও কম সময় কাজ করেন। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সের শ্রমিকরাও গত দশকের থেকে বর্তমানে তাদের গড় কার্যদিবস এক ঘণ্টা বেড়ে ২৯.৭ ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে।

তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪