পৃথিবীর আগ্নেয়গিরির মতো প্লুটোয় বরফের ভলক্যানো
পৃথিবীর আগ্নেয়গিরির মতো প্লুটোয় বরফের ভলক্যানো
কিন্তু তার জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে আসে না গনগনে লাভা স্রোত। বেরিয়ে আসে বরফের বিশাল বিশাল চাঙর। তার জ্বালামুখের ওপরে ওঠে ভয়ঙ্কর বরফ-ঝ়ড়। বেরিয়ে আসে জল, বিষাক্ত নাইট্রোজেন, অ্যামোনিয়া বা মিথেন গ্যাসের স্রোত। আর তা পৃথিবীর আগ্নেয়গিরির গনগনে লাভা স্রোতের মতোই দ্রুত গ্রাস করে ফেলে আশপাশের সুবিশাল এলাকা।
এ বছরের জুলাইয়ে প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় মহাকাশযান ‘নিউ হরাইজন’ যে সব ছবি তুলে পাঠিয়েছে পাসাডেনায় জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরিতে (জেপিএল), তা খতিয়ে দেখে ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে নাসার গবেষক দল। সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্র নিয়ে এখন আলোচনা চলছে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ডিভিশন ফর প্ল্যানেটারি সায়েন্সেসের ৪৭তম বার্ষিক সম্মেলনে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ধরনের আগ্নেয়গিরিকে বলা হয়- ‘ক্রায়ো-ভলক্যানিজম’। বলতে পারেন, বরফের ভলক্যানো! নাসা জানাচ্ছে, প্লুটোর ওই ভলক্যানো থেকে বেরিয়ে আসা বরফের স্রোতের চেহারা, চরিত্র কেমন সেটা এখন খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই সৌরমণ্ডলের জন্মের দু’শো কোটি বছর পরেও অসম্ভব ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া প্লুটোয় কী ভাবে এখনও ভলক্যানো থেকে বরফের স্রোত বেরিয়ে আসছে, তা নিয়ে কৌতুবল রয়েই গিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্লুটোর ভীষণ দুই ভলক্যানো।