প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীরা পেয়েছেন নিজ নিজ দলের প্রতীক। প্রতীক বরাদ্দের পর পরই প্রচারণায় নেমে পড়েন তারা। বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সমর্থন চেয়ে শুরু হয়েছে মাইকিং; অনেক প্রার্থী আবার তাত্ক্ষণিকভাবে পথসভাও করেছেন।
দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে। মেয়রপদে প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তবে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৩৪টি পৌরসভার সবক’টিতেই মেয়রপ্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে ২২০টিতে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ৭৩, জাসদ ২০, ইসলামী আন্দোলন ৫৬টিতে মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ২৭১ জন।
দলীয় সমর্থন না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। শীর্ষ নেতারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্ত না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তত শতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গেছে। ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র জমাদান ও দলীয় আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণে ছয় পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরই মধ্যে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে ৩০ ডিসেম্বর।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
বগুড়া: গতকাল প্রতীক বরাদ্দ নিয়েই প্রচারণা শুরু করেছেন জেলার নয় পৌরসভার প্রার্থীরা। এবার বগুড়া, কাহালু, সান্তাহার, নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জ, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, শেরপুর ও ধুনট পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। মেয়র পদে ২৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৬ এবং নারী কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।
বগুড়া পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মাহবুবুর রহমানের সমর্থকরা গতকাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষ টানিয়ে দেয়। বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম মন্টু। তার দলীয় প্রতীক নৌকার পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার শোভা পাচ্ছে পৌর এলাকায়।
এছাড়া ধুনট পৌরসভায় তিন মেয়র, ১২ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ২৪ সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম খান (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলিমুদ্দিন হারুন মণ্ডল (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এজিএম বাদশাহ (জগ) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
মেহেরপুর: গতকাল দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান। মেয়র পদে আহম্মেদ আলী (নৌকা), ইনসারুল হক ইন্সু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) আশরাফুল ইসলাম ভেন্ডর (জগ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী হুজ্জাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী এসএম মুর্তজার হাতে লাঙ্গল প্রতীকের কাগজপত্র তুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের ১০ প্রার্থীর মাঝেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে গতকালই প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। অনেক প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু করেন গণসংযোগ। নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক দলীয়ভাবে আগেই বরাদ্দ হওয়ায় এ দুই প্রতীকের প্রার্থীরা আগে থেকে পোস্টার ছাপিয়েছিলেন। দুপুরের পর থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থানে তাদের সমর্থকদের পোস্টার টানাতে দেখা গেছে। বেলা ২টার পর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মাইকিং শুরু হয়।
বরিশাল: ছয় পৌরসভা নির্বাচনে ২২ মেয়র, ১৮১ জন সাধারণ কাউন্সিলর, এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৮ প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রতীক দেয়া হয়েছে। গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে। তবে পছন্দের প্রতীক উটপাখি পেতে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে লটারি করতে হয়েছে তাদের। প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী প্রচারের জন্য মাইক নেমেছে পৌর এলাকায়। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। প্রচারণার জন্য মেয়রপ্রার্থী নিজের প্রচারণার জন্য একটি এবং প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন কেবল একটি মাইক।
দিনাজপুর: দিনাজপুর সদর পৌরসভায় বর্তমান মেয়র ও বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুল ইসলাম নৌকা এবং জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মোতালেব লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রাথী মো. আলতাব হোসেন নারকেল গাছ ও ফয়সাল হাবিব সুমন মোবাইল ফোন প্রতীক পেয়েছেন।
ফুলবাড়ী পৌরসভায় মেয়র পদে নয়জনের মধ্যে স্বতন্ত্র পাঁচজন ও চারজন দলীয় প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন— বর্তমান মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক (নারকেল গাছ) সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল (চামচ) আল আমিন সরকার (ক্যারম বোর্ড), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খাজা মঈনুদ্দিন (মোবাইল ফোন মার্কা)। এছাড়া রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর জয়নাল আবেদিন (জগ), বিএনপির শাহাদত্ আলী সাহাজুল (ধানের শীর্ষ), আওয়ামী লীগের শাহাজাহান আলী সরকার পুতু (নৌকা), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এসএম আব্দুল্যাহ নুরুজ্জামান (কাস্তে) ও জাতীয় পার্টির (জাপা) জামিল উদ্দিন (লাঙ্গল)।
যশোর: জেলার ছয় পৌরসভার ২০ মেয়রপ্রার্থী, ২০০ কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের মাঝে এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রার্থীরাও প্রতীক নিয়ে উত্সবমুখর পরিবেশে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন।
যশোর পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত জহিরুল ইসলাম চাকলাদার নৌকা। বিএনপি মনোনীত বর্তমান মেয়র মারুফুল ইসলাম ধানের শীষ। ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ আলী হাতপাখা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এসএম কামরুজ্জামান চুন্নু পেয়েছেন জগ প্রতীক।
চৌগাছা পৌরসভায়ও মেয়র পদে মাঠে রয়েছেন চার প্রার্থী। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল নৌকা। বিএনপির সেলিম রেজা আওলিয়ার ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এসএম সাইফুর রহমান বাবুল নারকেল গাছ ও জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাস্টার কামাল আহমেদ জগ প্রতীক পেয়েছেন। বাঘারপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন চারজন। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান বাচ্চু নৌকা। বিএনপির আবদুল হাই মনা ধানের শীষ। বিএনপির বিদ্রোহী আবু তাহের সিদ্দিকী জগ ও স্বতন্ত্র খলিলুর রহমান নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
মনিরামপুর পৌরসভায় মেয়র পদে টিকে রয়েছেন তিনজন। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহামুদুল হাসান নৌকা। বিএনপি মনোনীত শহীদ ইকবাল হোসেন ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মজিদ নারকেল গাছ প্রতীক নিয়েছেন। অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভায়ও মেয়র পদে লড়ছেন তিন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের সুশান্ত কুমার দাস শান্ত নৌকা। বিএনপির রবিউল হোসেন ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র হিসেবে (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ফারুক হোসেন জগ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এছাড়া কেশবপুর পৌরসভায় মেয়র পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম নৌকা ও বিএনপির আবদুস সামাদ বিশ্বাস ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।
ঝিনাইদহ: জেলার চার পৌরসভার প্রার্থীরা গতকাল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। শৈলকুপা পৌরসভায় মেয়রপ্রার্থী তিনজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের কাজী আশরাফুল আজম নৌকা, বিএনপির খলিলুর রহমান ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র তৈয়বুর রহমান খান পেয়েছেন জগ প্রতীক। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভায়ও মেয়রপ্রার্থী তিনজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শাহিনুর রহমান রিন্টু (নৌকা), বিএনপির জিন্নাতুল হক (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন হাতপাখা প্রতীক।
কোটচাঁদপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সহিদুজ্জামান সেলিম (নৌকা), বিএনপির এএসকে সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম (নারকেল গাছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম (জগ) প্রতীক পেয়েছেন। মহেশপুর পৌরসভায় মেয়রপ্রার্থী তিনজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের আব্দুর রশিদ খান (নৌকা), স্বতন্ত্র আমিরুল ইসলাম খান (জগ) ও ইসলামী আন্দোল বাংলাদেশের তাহাবুর রহমান (হাতপাথা) প্রতীক পেয়েছেন। এ পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাট পৌরসভায় মেয়র পদে চার দলীয় প্রতীক আগেই বরাদ্দ ছিল। স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মাঝে গতকাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুবলীগের আইন-বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান প্যানেল মেয়র এসএম ওয়াহিদুজ্জামান সেনা পেয়েছেন জগ ও নারকেল গাছ প্রতীক। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম হুমায়ুন আক্তার শিমুল। মেয়র পদের দলীয় প্রতীকপ্রাপ্তরা হলেন— আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বর্তমান মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে আব্দুল হালিম। জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) বাইসাইকেল প্রতীকে আব্দুর রশিদ এবং ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকে আমিনুল ইসলাম।
অন্যদিকে পাটগ্রাম পৌরসভায় মেয়র পদে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন পেয়েছেন জগ প্রতীক। দলীয় প্রতীকপ্রাপ্তরা হলেন— আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বর্তমান মেয়র শমসের আলী। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে এ কে মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) লাঙ্গল প্রতীকে আব্দুল হামিদ বেঞ্জু।
কুড়িগ্রাম: জেলার তিন পৌরসভা- কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী ও উলিপুরে ১৫ জন মেয়র প্রার্থী, ১৩১ জন কাউন্সিলর এবং ৪২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গতকাল সকালে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে কুড়িগ্রাম পৌরসভায় প্রতীক বরাদ্দ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আকতার হোসেন আজাদ। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আব্দুল জলিল বলেন, গণসংযোগের পাশাপাশি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করবেন। অন্যদিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বলেন, পাঁচ বছর মেয়র পদে থেকে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ভোট সুষ্ঠু হলে আবার পৌরবাসী আমাকে নির্বাচিত করবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা কার্যালয় থেকে নাগেশ্বরী পৌরসভায় মেয়র পদে ছয়জন, কাউন্সিলর পদে ৪৯ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত্ মো. রহমতুল্ল্যা। এছাড়া উলিপুর উপজেলা কার্যালয় থেকে উলিপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ছয়জন, কাউন্সিলর পদে ৪৬ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন।
মাগুরা: মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে তিন মেয়রপ্রার্থীসহ ৫৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গতকাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খোন্দকার আজিম আহমেদ প্রার্থীদের মধ্যে এ প্রতীক বরাদ্দ দেন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খুরশীদ হায়দার টুটুল দলীয় প্রতীক (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফুর (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মশিউর রহমান পেয়েছেন হাতপাখা প্রতীক।
এছাড়া কুষ্টিয়ার পাঁচ পৌরসভা, নেত্রকোনার পাঁচটি, খাগড়াছড়ির দুটি পৌরসভাসহ অন্যান্য পৌরসভায় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।