পড়ার গতি বাড়বে দ্বিগুণ

নতুন বই দেখে পড়তে ইচ্ছা হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বইপোকা যে কারো কাছে বইয়ের আবেদন অনেক বেশি। অবশ্য যারা বই পড়ার চেয়ে খেলা কিংবা অন্য কাজে বেশি আগ্রহবোধ করেন, তাদের কাছে বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকা কষ্টসাধ্য বটে। কিন্তু ওই যে, নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শুঁকে যে কারোরই ক্ষণিক সময়ের জন্য হলেও বইয়ের প্রেমে পড়তে মন চাইবে। দুই পাতা উল্টেই হয়তো পড়ার গতি কমে যায় সেক্ষেত্রে। কিন্তু পড়ার গতি বাড়িয়ে দেবে কয়েকটি সূত্র—

মনে মনে পড়ার অভ্যাস

বই পড়ার সময় আনমনে কয়েকটা শব্দ অস্ফুটভাবে বেরিয়ে যায় মুখ থেকে। কখনো ঠোঁট নড়ে শুধু, কখনো অস্ফুট শব্দও বের হয়। যদি আপনার চাওয়া থাকে আগের তুলনায় পড়ার গতি দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলার, তাহলে অবশ্যই এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। এটা ইচ্ছাকৃত অভ্যাস না হওয়ায় এর নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ নয়। প্রথমে একটু কষ্ট হলেও কয়েক দিন চেষ্টা চালিয়ে গেলেই দেখবেন তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আর এ অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আসা মানে আপনার পড়ার গতি বেড়ে যাবে।

পড়ার সময় চারপাশে নজর কম দিন

পড়ার সময় মনোযোগ একদিকে রাখাই ভালো। বই পড়ার সময় আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা আপনার মনোযোগ নষ্ট করে দিতে সক্ষম। কিন্তু খেয়াল রাখুন পড়ার প্রতিই মনোযোগ ধরে রাখার। বারবার পড়ার মধ্য যতিচিহ্ন পড়ার গতিকে কমিয়ে দেবে অনেকটুকুই।

চোখ রাখুন বইয়ে

অনেক ক্ষেত্রে বই পড়ার সময় আশপাশের অনেক কিছুই আমাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। পড়তে পড়তেই হয়তো আশপাশে তাকানোর অভ্যাস কমবেশি সবারই আছে। চেষ্টা করুন, বই পড়ার সময় আশপাশের কোনো কিছুর দিকেই নজর না দিতে। এতে পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায় অনেকটা। এটি পড়ার গতিও কমিয়ে দেয়। তাই চোখের দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন। স্থির থাকুন বইয়ের পাতায়।

ছোট ও কম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ এড়িয়ে যান

পড়ার সময় ছোট ও কম গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কেননা সম্পর্কিত শব্দগুলো আপনাতেই মনে থেকে যায়। অযথা সেগুলো সময় নেয় অনেকটুকু। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এতে নিঃসন্দেহে পড়ার গতি বেড়ে যাবে।

সূত্র: ডেভেলপ গুড হ্যাবিটস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.