ফুটবল নয়, যেন গ্লামারের লড়াই হবে ইংল্যান্ড-সুইডেনের

শনিবার বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনের মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড। এবার বিশ্বকাপের আসরে মাঠের লড়াইয়ের বাইরে সবার চোখ গিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ডের খেলোয়ারদের গ্লামারাস স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডদের দিকে। তারা তাদের প্রিয়জনকে গ্যালারিতে বসে উৎসাহ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। কিন্তু শনিবার কি ঘটবে! সবাই কি ইংলিশ খেলোয়ারদের এসব পার্টনারের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন! না, এদিন সুইডেনের খেলোয়ারদের পার্টনাররাও মাঠে উপস্থিত থাকবেন। ফলে উভয় দলের খেলোয়ারদের স্ত্রী ও গার্লফ্রেন্ডদের মধ্যে হয়ে যাবে আরেক লড়াই। সেটা হলো মনস্তাত্ত্বিক।
গ্লামারের লড়াই।

সুইডেনের খেলোয়ারদের স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডরা কিন্তু রেবেকা ভারডিদের চেয়ে কম যান না। ফলে এই গ্লামার লড়াইয়ের দিকেও থাকবে অনেকের চোখ। কার কার মধ্যে হবে এই লড়াই! উইগানের হয়ে খেলা সাবেক ডিফেন্ডার আন্দ্রেস গ্রানকভিস্ট হলেন সুইডেনের গোল সন্ধানী ক্যাপ্টেন। তবে তার ও ইংল্যান্ড দলের সুপার স্কোরার হ্যারি কেইনের মধ্যে মিল কিন্তু শুধু সেখানেই নয়। হ্যারির প্রেয়সী কেটি গুডল্যান্ড এবং আন্দ্রেসের স্ত্রী সোফিয়া কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা। তাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেয়ার সময় এসে গেছে প্রায়। ফলে মাঠে তাদের লাফালাফি, ঝাপাঝাপি থাকবে কম। সঙ্গত কারণেই সোফিয়ার সন্তান জন্ম দেয়ার সময়সীমা ঘনিয়ে আসার কারণে তিনি সম্প্রতি ফিরে গেছেন সুইডেনে। সেখানে তার দিনের পর দিন কি অগ্রগতি হচ্ছে তা জানিয়ে দিচ্ছেন ইন্সটাগ্রামে ১০ হাজার অনুসারীকে। তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা বোঝাতে বেশ কিছু সেলফি পোস্ট করেছেন। এই যে দুটি যুগলের কথা বলা হলো তারা একে অন্যকে ভীষণ ভালবাসেন। স্বামীকে উৎসাহ দেয়ার জন্য স্বর্ণালী কেশের সোফিয়া সম্প্রতি একটি সেলফি পোস্ট করেছেন। তার ক্যাপশনে লিখেছেন, আমি তোমার স্ত্রী হতে পেরে ভীষণ গর্বিত। হ্যারি ও কেটির মধ্যে একে অন্যের যে ভালবাসা সেটাই সেই একই রকম। ইংলিশ দলের জেমি ভারডির স্ত্রী রেবেকা ভারডির মতোই গ্লামার ছড়াচ্ছেন সুইডেনের ভিক্টর জুর্গেন নিলসন লিন্ডেলফের স্ত্রী মাজা নিলসন লিন্ডেলফ। তিনি নিজেকে নিজেই ‘আইস কুইন’ নামে আখ্যায়িত করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এক সেনসেশনে পরিণত হয়েছেন। ইন্সটাগ্রামে রেবেকা ভারডির রয়েছে তিন লাখ অনুসারীর। অন্যদিকে ২৩ বছর বয়সী মাজা নিলসনের অনুসারীর সংখ্যা এক লাখের বেশি। মাজা এবং রেবেকা ভারডি উভয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। তারা তাদের প্রিয়তমের খেলোয়াড়ি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো এবং সেলফি পোস্ট করেন তাতে। রেবেকা ভারডি সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন হাই স্ট্রিট স্টোরে ঢুঁ মারেন। কেনাকাটা করেন। খাবার খান। কিন্তু মাজা নেলসন শুধু জীবনের আনন্দঘন মুহূর্তকে উপভোগ করেন। ভাল ভাল খাবার খান। এ বছরের মে মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মাজা ও ভিক্টর নিলসন। তবে সেই বিয়েতে খরচের তেমন কোনো আদিখ্যেতা ছিল না। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল সুইডেনের এক প্রান্তে। গত বছর তারা দু’জনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মালদ্বীপে। এ জায়গাটি রেবেকা ভারডির খুব প্রিয় অবকাশ যাপনের কেন্দ্র। জেমি ভারডি ও রেবেকা ভারডি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২০১৬ সালে। চেশায়ারে পিকফরটনে তাদের সেই অনুষ্ঠান ছিল জাকজমকে ভরা। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি জেমি ভারডির মা ও তার সৎপিতা। কি নিয়ে এই মনোমালিন্য ছিল? হ্যাঁ, কে হচ্ছেন জেমির স্ত্রী তা নিয়েই তাদের মনোমালিন্যে এমন ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে আছেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। তিনি তো এখন জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন কলম্বিয়ার সঙ্গে ২টি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে। তারই গার্লফ্রেন্ড মেগান ডেভিসন। আর আছেন সুইডেনের ওলা টোইভোনেন। তার স্ত্রী এমা হারব্রিং। এই যে যুগল দুটির কথা বলা হলো এরা শৈশব থেকেই প্রেমে পড়েছেন। আর সেই প্রেমই টিকে আছে এখনও। সাবেক ফুটবলার এমা (৩১) ও ওলা (৩৩)’র মধ্যে সাক্ষাত সেই ২০০২ সালে। তখন তারা টিনেজ। পড়তেন ডেগারফোরস শহরে একটি হাই স্কুলে। সে সময়েই তাদের প্রেমের শুরু। ২০১৫ সালের জুনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সুইডেনের অন্য ফুটবলার ও তাদের স্ত্রী, গার্লফ্রেন্ডদের সঙ্গে নিজেদের তুলনীয় করতে চান না এই দম্পতি । নিজেদেরকে একটু আড়াল করে রাখতেই পছন্দ করেন। সে তুলনায় মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রেমে পড়েছেন জর্ডান পিকফোর্ড এবং প্রেমিকা মেগান ডেভিসন। তাদেরও প্রেম শুরু স্কুলে। তারপর থেকে একের চোখের মণি আরেকজন।

সুইডেনের স্ট্রাইকার মারকাস বার্গের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ জোসেফিন রিংব্লম। তাদেরকে তুলনা করা যায় ইংল্যান্ডের ডেলে আলির গার্লফ্রেন্ডে রুবি মাইয়ের সঙ্গে। ২৩ বছর বয়সেই রুবি একজন নজরকাড়া মডেল। সে তুলনায় জোসেফিন কিছুটা বেশি বয়সী। তিনি এরই মধ্যে তিন সন্তানের মা। কিন্তু তিনি এরই মধ্যে তবু তিনি ফ্যাশন নিয়ে আছেন। সম্প্রতি তিনি পরেছিলেন সুইডেনের ২৪/৭ শার্ট। কিন্তু যদি শনিবার ইংল্যান্ড বিজয়ী হয় তাহলে হয়তো তাকে সেই গুচি’তেই ফিরে যেতে হবে। মার্কাস বার্গের ঔরসে জোসেফিন দু’টি সন্তানের মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.