ফেসবুক-টুইটারে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাকিব
বাংলাদেশে ফেসবুকের মতো টুইটার তেমন জনপ্রিয় এখনো হয়ে ওঠেনি। তারপরও টুইটারে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। তাদের অনুসারীর সংখ্যা ২০ লাখের মত। তারপরই মানুষ নজর রাখছে শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটারের ওপর। ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যার বিচারে টুইটারে শীর্ষ দশের চারজনই ক্রিকেটার। এদের মধ্যে শীর্ষে সাকিব আল হাসান। তার ফলোয়ার সংখ্যা ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ।
এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। তার অনুসারী ১০ লাখেরও বেশি। এরপরই আছেন তামিম ইকবাল, ফলোয়ার সাড়ে সাত লাখ।
চতুর্থ স্থানে মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারী ছয় লাখেরও বেশি।
ক্রিকেটের বাইরে একজন মাত্র বাংলাদেশী টুইটারে শীর্ষ দশের তালিকায় রয়েছেন। তিনি হলেন গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকার। তার ফলোয়ারের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের মত।
সোশ্যালবেকারস নামে একটি আন্তর্জাতিক মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান এই পরিসংখ্যান দিয়েছে।
ফেসবুকে বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেট তারকাদের ফলোয়ারের সংখ্যা টুইটারে কয়েক গুণ বেশি।
ফেসবুকে সাকিবের ফলোয়ার এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। মুশফিকের অনুসারী প্রায় কোটি ছুঁই ছুঁই। মাশরাফির প্রায় ৮৫ লাখ।
কোহলিদের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ সাকিব, প্রশংসায় পঞ্চমুখ হায়দরাবাদ
আইপিএলের এবারের আসরের শুরু থেকেই দুর্ধর্ষরূপে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার ঘূর্ণিতে কুপোকাত প্রতিপক্ষ। আর দলের প্রয়োজনে আছেন ব্যাট হাতেও। কালও এর ব্যতিক্রম হলো না। কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে কাল ৫ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। পাশাপাশি নিশ্চিত করেছে প্লে-অফের খেলা। এতে অন্যতম অবদান সাকিবের। প্রথমে ব্যাট এবং পরে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। ফলে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হায়দরাবাদ মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ।
কাল প্রথম ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। ৩২ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেছেন। পরে বল হাতেও দুর্ধর্ষ ছিলেন। বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার ছিল তারই। তিনি চার ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৬ রান। শিকার করেছেন দুটি উইকেট। দুটি উইকেটই ছিল টপ-অর্ডারের। শুরুতে তার শিকার হন ওপেনার পার্থিক পাটেল। এরপর সাজঘরে ফেরান অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।
সাকিবের বোলিংয়ের প্রশংসা করে মেন্টর লক্ষ্মণ বলেন, ‘সাকিব প্রায়ই দুটি করে উইকেট নিচ্ছে, রান চেক দিচ্ছে। সে অনেক ঠাণ্ডা মেজাজের। আমি মনে করি আমাদের বোলারদের মধ্যে সেই সবচেয়ে আন্ডাররেটেড।’
কাল কোহলিদের হারিয়ে শীর্ষস্থানে দখল করেছে হায়দরাবাদ। ১০ ম্যাচের আটটিতে জিতে তাদের পয়েন্ট ১৬। এর মাধ্যমে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সাকিবরা। উল্টো অবস্থা কোহলির আরসিবি’র। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৬। ফলে প্লে-অফে পৌঁছানো তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। (০৮ মে ২০১৮ প্রকাশিত সংবাদ)