বদলী খেলোয়াড় থেকে ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান
১৪ বছর আগে লাহোরে বদলী ফিল্ডার হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন আজহার আলী, ২০০২ সালে মে মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচেই তিনি দেখেছেন ইনজামাম-উল-হকের করা ৩২৯ রানের দুর্দান্ত এক ট্রিপল সেঞ্চুরি। সেই সময়ই তার মনে উঁকি দিয়েছিল কোনদিন যদি সুযোগ হয় পাকিস্তানের হয়ে এমনই একটি ইনিংস উপহার দেয়ার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুবাই টেস্টে সেই আশা পূরণ হয়েছে ৩১ বছর বয়সী আজহার আলীর। প্রথমবারের মত দিবা-রাত্রির টেস্টে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনে ৩০২ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছেন। টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা গুটি কয়েক ব্যাটসম্যানের তালিকায় তিনি নাম উঠালেও দিবা-রাত্রির টেস্টে এটাই প্রথম ঘটনা। সে কারণে আজহার নিজেকে অনন্য করেই রাখলেন।
ম্যাচ শেষে আজহার বলেছেন, ‘আমার এখনো মনে আছে ইনজামাম যেদিন ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন সেদিন আমি বদলী ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমেছিলাম। এখন আমার নিজের নামের পাশেই ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড। আমি সত্যিই গর্বিত, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এটা এমন একটি অনুভূতি যা সারা জীবনে ভোলার নয়।’
আজহারের এই ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ৩ উইকেটে ৫৭৯ রানের ইনিংস ঘোষণা করে। কোন পাকিস্তানী হিসেবে এটা চতুর্থ ট্রিপল সেঞ্চুরির ইনিংস। আজহার ও ইনজামাম ছাড়াও ১৯৫৮ সালে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হানিফ মোহাম্মদ ৩৩৭ ও ২০০৯ সালে করাচিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ইউনিস খান ৩১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
আজহার বলেছেন, ইউনিসের ইনিংসটিও তিনি দেখেছেন। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে দুবাই টেস্ট থেকে ইউনিসকে প্রত্যাহার করায় তার অনুপস্থিতি বেশ অনুভব করেছেন আজহার।