বাংলাদেশের অর্থনীতির গল্প এখন সারা পৃথিবীর কাছে এক কৌতূহলের বিষয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির গল্প এখন শুধু বাঙালির কাছেই নয়, সারা পৃথিবীর কাছে এক কৌতূহলের বিষয়। আর্থিক খাতে আমাদের অর্জিত স্থিতিশীলতা এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশের কাছে মডেল।
শনিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংবাদপত্র পাঠক ফোরাম’ আয়োজিত ‘জীবনের কথা, অর্থনীতির কথা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি নাসির উদ্দিন শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।
গভর্নর বলেন, বিশ্ব আজ জানতে চায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী এমন ঘটেছে যে বিশ্ব মন্দার পরেও দেশটির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি। সামাজিক উন্নয়নে কী এমন ঘটেছে এখানে -যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১, ক্রয় ক্ষমতার দিক থেকে বিশ্বে ৩৩তম এবং জিডিপির ভিত্তিতে দেশটির স্থান বিশ্বের মধ্যে ৪৫ তম।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ‘গ্যালাপ’ এর মতে ‘পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে আশাবাদী মানুষের দেশ বাংলাদেশ এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিচারে আমাদের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।’
ড. আতিউর রহমান অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সময়ে আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মাথাপিছু আয় বাড়ছে। সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, দারিদ্রের হার, গড় আয়ুসহ অনেক সূচকেই ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। মূল্যস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে। দারিদ্র প্রায় ৬০ ভাগ থেকে ২২ ভাগে নেমে এসেছে। টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল ও জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
গভর্নর বলেন, গতবছর বাংলাদেশ ‘নিম্ন আয়ের দেশের’ গ্লানি ঘুচে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এখন এগিয়ে চলেছে পুরোপুরি মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার প্রত্যয়ে।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন সাবলীলতার আঙ্গিনায় উঠে এসেছে। এটাই আমাদের অর্থনীতির বড় গল্প।